শুভার্থীদের সাহায্যে নতুন জীবনে প্রবেশ করছে সাধনা

জলপাইগুড়ি,১১ ডিসেম্বরঃ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ওঁরা। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে বিয়ের প্যান্ডেল সহ যাবতীয় খরচ বহন করবেন ওঁরাই। মহিলা কল্যাণ সংঘের দেবপ্রিয়া সেন বর-কনের পোষাক, বিছানা ও বাসনপত্রের খরচ বহন করছেন। প্রীতিভোজের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন বাচ্চু দাস, মুন্না সা প্রমুখ। হাতে লেখা কার্ডে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জেলা শাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে মোট ২৫০ জন আমন্ত্রিত রয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করছেন শুভার্থীরাই। এত আয়োজন জলপাইগুড়ি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অনুভব হোমের বাসিন্দা সাধনা বর্মনের বিয়েকে ঘিরেই। ১৩ ডিসেম্বর বিয়ের দিন নির্ধারিত। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে হোম চত্বরেই।

আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের চকচকা গ্রামের দুস্থ পরিবারের মেয়ে সাধনা। ছয় বছর বয়সেই তাকে হোমে আনা হয় এবং এখানেই সে তার পড়াশুনা শেষ করে। কিন্তু সরকারি বিধি অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধে কোনো মেয়েকে হোমে রাখা যায় না। বর্তমানে সে একটি বেসরকারী পর্যটন সংস্থায় কাজ করছে। হোম পরিচালন কমিটির কর্ণধার দীপা রায় সাধনার বিয়ের ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন। মুশকিল আসান করে দিল মধ্য বড়ুয়াপাড়ার যুবক মন্টু রায়। মন্টু অনুভব হোমে মাশরুমের প্রশিক্ষণ দিতে আসেন। তার ব্যবহারে সকলে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে খুশি মনেই মেনে নেন মন্টু। ইতিমধ্যেই সাধনা তার আয় থেকে বিয়ের জন্য সামান্য কিছু গয়না গড়িয়েছে বিয়ের জন্য।

মেনু কার্ডে থাকছে, ভাত, ভেজ ডাল, পকোরা, পনির, মাংস এবং চাটনি।



from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2hdolCB

December 11, 2016 at 10:43PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top