ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর- সম্প্রতি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রিপোর্ট করেছে একটি দৈনিক পত্রিকা ও একটি টিভি চ্যানেল।ঐ রিপোর্টের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি ও দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সোমবার বাফুফে ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,একটি দুটি মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছাপাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। আমি তো আগে বলেছি এটা মিথ্যা।এখনো তা বলছি। ভূয়া ও মিথ্যা সংবাদের জবাব কিভাবে দিতে হয় আমি জানি। সময়মতো সে জবাব দেবো। আমি দেখছি কিছু টিভিতে এ নিয়ে প্রপাগান্ডা চলছে। এগুলো তার কমিটির কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উ্ল্লেখ করে সাবেক এ তারকা ফুটবলার বলেন,দেখেন, ফুটবল উন্নয়নে আমরা যে পরিকল্পনা দিয়েছি, সেটা যেন ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারি সে জন্য একটি গ্রুপ কাজ করছে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন- সাংবাদিকদের কেউ কেউ স্পন্সরের কাছে গিয়ে হুমকি দিয়েছেন যাতে তারা ফুটবলে না আসে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাকে ফোন করে এবং দেখা করে বলেছেন- ভাই ফুটবলে গেলে তো সমস্যা আছে। সময় আসলে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সব কিছুই হবে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে কারা হুমকি দেয় সে ব্যাপারে সালাউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,অল্পদিনের মধ্যে আমি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ সব কিছু জানাবো। এমন কি নামও বলে দেবো। দু-একটা টিভিতে এবং পেপারে অনেক কিছু লেখালেখি হচ্ছে এবং লাফালাফি হচ্ছে। আজ তো ব্রিফিং করলাম। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সব কিছু জানিয়ে দেবো। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে কেন আইনগত ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন,হ্যাঁ। আমি আইনজীবির সঙ্গে কথা বলবো, তার কাছ থেকে উপদেশ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে যাবো। আপনার দুর্নীতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসেও নাকি রিপোর্ট পেশ করেছে একটি গেয়েন্দা সংস্থা? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন,চারদিকে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে তা মিডিয়ার কাছ থেকেই শুনেছি। অফিসিয়ালি এখনো কিছু জানি না। আর কেউ একটা পেপার তৈরি করে দিয়ে দিলেই তা প্রমানপত্র নয়। যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে সেটা প্রমান হলেই না বোঝা যাবে সত্য। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউরো ২০১৬র ফাইনাল ম্যাচে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা খেলা দেখবেন বলে ৪টি টিকিট কেনার অভিয়োগ করা হয়েছে ঐ রিপোর্টে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০ হাজার ইউরো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে ইউরো কাপের ফাইনালের টিকিট বেচে আমি ৪০ হাজার ইউরো আয় করেছি। অথচ কোনো টিকিটই আমরা নেইনি এবং কোন টিকিট আমরা কিনিনি। আর/১০:১৪/১৯ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2h4z97q
December 20, 2016 at 07:06AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top