প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন নাঙ্গলকোটের হাছানুজ্জামান

ফারুক আল শারাহ ● তিনি একজন প্রবাসী। থাকেন সুদূর সুইজারল্যান্ড। প্রবাস জীবনেও দেশের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করেন। লাল সবুজের পতাকার প্রতি অসরিসীম শ্রদ্ধা। ভালোবাসেন স্বাধীন দেশের মানুষগুলোকে। কর্মজীবনে আত্মকেন্দ্রিকতায় ডুবে থাকতে চান না। সমাজ উন্নয়নের চিত্র সর্বদা হৃদয়ে আঁকেন। এরই লক্ষ্যে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের ব্যপ্তি ঘটিয়ে নিজের উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন।

এমনই ব্যতিক্রম গুণাবলীর অধিকারী মোঃ হাছানুজ্জামান। হাছানুজ্জামানকে অনেকে ‘দাদা ভাই’ নামে চিনেন। তার বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাইল। তিনি ওই গ্রামের সরদার বাড়ির মোহাম্মদ এরশাদুজ্জামান ও খুরশিদা বেগমের সুযোগ্য ছেলে। বর্তমানে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী নাগরিক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ, মিষ্টিভাষী ও পরোপকারী।

মোঃ হাছানুজ্জামান সুদূর সুইজারল্যান্ডে কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এলাকার উন্নয়নে সদাব্যাপৃত। নিজ এলাকার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে রয়েছে তার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি এগিয়ে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি সুচিকিৎসা বঞ্চিত দরিদ্র লোকজন, শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থী, গরীব মেয়ের বিয়েতে সাধ্যানুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা সহ সমাজ কল্যাণমুলক কর্মকান্ডে তার উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়। নিজ এলাকা ছাড়াও নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করে থাকেন।

২০১৩ সালে নাঙ্গলকোটের হেসাখাল এলাকায় কতিপয় শিক্ষানুরাগীর নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘প্রত্যাশা কিন্ডারগার্টেন’। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় দেড় শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান কর্তপক্ষ বিভিন্ন সমস্যা সুইজারল্যান্ড প্রবাসী হাছানুজ্জামান (দাদা ভাই) কে অবহিত করে তাকে প্রতিষ্ঠানটির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজী হয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সম্প্রতি তিনি প্রতিষ্ঠানটির একজন পরিচালক হিসেবে আনুপাতিক হারে বিনিয়োগ সহ ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে হাছানুজ্জামানের আন্তরিকতা দেখে তাকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন।

এছাড়াও হাছানুজ্জামান (দাদা ভাই) স্থানীয় হেসাখাল বাজার কলেজের এক বছরের জন্য দাতা সদস্য এবং পরবর্তীতে আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে থাকার পরিকল্পনা করছেন। সমাজ ও মানব উন্নয়নে হাছানুজ্জামানের আন্তরিকতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার শিক্ষিত, তরুণদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘বর্ণমালা সামাজিক সংঘ’ কর্তৃপক্ষ তাকে (হাছানুজ্জামানকে) উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এককথায় এলাকার সমাজ কল্যাণমুলক কর্মকান্ডে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী হাছানুজ্জামান এর উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে- আমাদের এলাকায় অনেক ধর্নাঢ্য মানুষ রয়েছেন। কিন্তু সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে অনেকে সমাজ ও মানব কল্যাণমুলক কাজে ভূমিকা রাখেন না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সুইজারল্যান্ড প্রবাসী মোঃ হাছানুজ্জামান (দাদা ভাই)। ভালো কাজে তিনি সবার আগে- এমনই প্রমাণ পাচ্ছি আমরা। ভবিষ্যতেও তার এমন আন্তরিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

সমাজ ও মানব কল্যাণে ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী মোঃ হাছানুজ্জামান বলেন- মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সমাজ ও মানব কল্যাণে এগিয়ে আসা সবার উচিত। আর বিষয়টি হৃদয়ে ধারণ করে আমি সমাজ কল্যাণমুলক কাজে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। তিনি বলেন- আমরা অবহেলিত এলাকার বাসিন্দা। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক সমাজ বিনির্মাণই আমাদের সবার প্রত্যাশা। আর এ প্রত্যাশা পূরণে সকল মতভেদের উর্ধ্বে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করা উচিত। সমাজ ও মানব কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করার প্রত্যয়ে আমি সবার দোয়া প্রত্যাশী।

The post প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন নাঙ্গলকোটের হাছানুজ্জামান appeared first on Comillar Barta™.



from Comillar Barta™ http://ift.tt/2iLUJv2

January 06, 2017 at 08:36PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top