কলকাতা, ০৮ জানুয়ারি- ২০১০ সালের ফেয়ার ওয়ান মিস ক্যালকাটা-র মঞ্চে যাঁরা নুসরতকে প্রথম দেখেছিলেন, তাঁরা জানেন এই ৭ বছরে নুসরত কিন্তু অনেকটা বদলেছেন। সেই বদলটা বাহ্যিক যে শুধু নয়, সেটা সাম্প্রতিককালের নুসরতকে দেখেই অনেকটা বোঝা যায়। মিস ক্যালকাটার সময় নুসরত ছিলেন অষ্টাদশী। এই সাত বছরে বিরাট উল্লেখযোগ্য কেরিয়ার তিনি গড়ে তুলতে পারেননি বটে, কিন্তু এগিয়েছেন এবং নিজেকে নানা দিক থেকে পরিমার্জনও করেছেন। প্রথমত, পাল্টেছে তাঁর লুকস। যে গার্ল নেক্সট ডোর ইমেজ নিয়ে তিনি শত্রু-তে ডেবিউ করেছিলেন তার থেকে আজকের, অর্থাৎ হর হর ব্যোমকেশ-এর নুসরত অনেকটাই আলাদা। সম্ভবত ২০১৫-র এই ছবিটিই নুসরতের কেরিয়ারে একটা ল্যান্ডমার্ক। নুসরত যে নায়িকা হওয়ার পাশাপাশি অভিনয়টাও কিঞ্চিৎ করতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন এই ছবিতে। শকুন্তলা চরিত্রে প্রচুর শেডস ছিল। চিত্রনাট্য নুসরতকে যতটা সুযোগ দিয়েছিল, তার যথেষ্ট সদ্ব্যবহার তিনি করেছিলেন। হয়তো সেই কারণেই জুলফিকর-এ রানি তলাপাত্র চরিত্রের জন্য মনোনীত করা হয় নুসরতকে। সমাজের ওই স্তরের মহিলাদের মধ্যে এক ধরনের সিউডো সফিস্টিকেশন কাজ করে যেটা অল্প টোকা মারলেই ভেঙে পড়ে। নুসরতের লুকস ও তাঁর অভিনয়ে সেই বিষয়টা ধরা পড়েছিল। কিন্তু, শুধুমাত্র একটু অন্য রকম এই ছবিগুলি দিয়ে তো আর টলিউড চলবে না। তাই নায়িকা হিসেবে টিকে থাকতে গেলে নুসরতকে হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা-র মতো ছবি করতেই হবে। সাত বছর পরে তাই অভিনয়ের দিক দিয়ে কিঞ্চিৎ পরিণত হলেও নুসরতকে আরও অনেকটা বেশি পরিশ্রম করতে হবে যদি তিনি সত্যিই নায়িকা হওয়ার পাশাপাশি ভাল অভিনেত্রী হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পেতে চান। কোন ছবি করবেন আর কোনটা করবেন না, সেটা নিয়েও আর একটু ভাবতে হবে নুসরতকে। পঁচিশ থেকে তিরিশ এই বয়সটা সব নায়িকাদের জন্যই খুব ক্রিটিক্যাল। এই সময়ের মধ্যেই নিজের পারফরম্যান্সকে অনেকটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াটা জরুরি, যেমনটা এক সময় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দহন বা পারমিতার একদিন-এর মতো ছবিগুলি কিন্তু তাঁর ওই বয়সকালেই। তবে ঋতুপর্ণার এই অ্যাচিভমেন্টের পিছনে ঋতুপর্ণ ঘোষ বা অপর্ণা সেনের মতো পরিচালকের অবদানও ছিলেন। নুসরত কি পারবেন? বা বলা ভাল সাম্প্রতিক বাংলা ছবির জগৎ কি পারবে নুসরত-কে সেই সুযোগটা করে দিতে? এই মুহূর্তে কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী মিমি এবং সোহিনী সরকার। সোহিনী টিপিক্যাল নায়িকা না হয়েও ভাল অভিনেত্রী হিসেবে অনেক বড় ব্যানারের ছবিতে সুযোগ পাচ্ছেন। আর মিমি-তো সব ধরনের ছবিতেই সপ্রতিভ। তাই নুসরত যদি টপ-এ পৌঁছতে চান, তবে পরিশ্রম করতে হবে অনেকটাই আর নিজেকে অনেকটা বদলাতেও হবে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2i4VBsK
January 09, 2017 at 02:09AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top