তেহরানের রাস্তায় ২০০৯ সালের ‘গ্রীন মুভমেন্টের’ পর এত মানুষের ঢল আর দেখা যায়নি। প্রয়াত নেতা আকবর হাশেমি রাফসানজানিকে শেষ বিদায় জানাতে প্রায় পঁচিশ লাখ মানুষ সেখানে সমবেত হয়েছিল।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসির ফার্সি বিভাগকে জানিয়েছেন, জানাজায় যোগ দিতে আসা মানুষদের মধ্যে কট্টরপন্থী এবং মধ্যপন্থী উভয় ধরণের লোকজনই ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির ডাকে সাড়া দিয়ে এরা সংস্কারবাদী আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থনের প্রকাশ ঘটাতে জানাজায় যোগ দেন।
জানাজায় যোগ দিতে আসা অনেকে বিরোধী দলের সমর্থনে শ্লোাগান দিচ্ছিলেন। অনেকে প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন।
একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “খাতামি দীর্ঘজীবী হোক, রুহানি দীর্ঘজীবী হোক।”
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই জানাজা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সরকার বিরোধী যেসব শ্লোগান দেয়া হচ্ছিল, সেসব যাতে শোনা না যায়, সেজন্যে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়।
ইরানের সোশ্যাল মিডিয়ায় রাফসানজানির জানাজাই ছিল মূল আলোচনার বিষয়।
জানাজায় নেতৃত্ব দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি।
তাকে দাফন করা হয় ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনির কবরের পাশে।
আকবর হাশেমি রাফসানজানি ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের একজন।
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2ia4VAc
January 10, 2017 at 11:56PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন