কুবিতে শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. নাহিদুল ইসলাম ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বায়েজীদ ইসলামের কাছে লাঞ্ছিত হন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার নির্ধারিত শিক্ষক বাসে শহরের উদ্দেশে রওনা হন। পথে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে এলে আন্দোলনরত কিছু শিক্ষার্থী আটকে দেন। আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডরমিটরিতে স্বস্ত্রীক যাওয়ার পথে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজীদ ইসলামসহ ৫-৭ জন শিক্ষার্থী পথ আটকান। এ সময় শিক্ষার্থী বায়েজীদ ওই শিক্ষককে বলেন, ‘আপনারা যেতে পারবেন না, আপনারা ক্লাস পরীক্ষা নেন না, আপনারা অবরুদ্ধ। সমাধান দিয়ে যেতে হবে। এসব ঘাড়ত্যাড়া শিক্ষককে পেটালে সবকিছু ঠিক হবে।’

এ ব্যাপারে লাঞ্ছিত শিক্ষক মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীর সামনে এই অসদাচারণে তিনি অপমানিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় তিনি নিজ কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বায়েজীদ ইসলাম বলেন, ‘আমি স্যারকে মারার কথা বলি নাই, বলছি আপনারা অবরুদ্ধ আপনারা, যেতে পারবেন না। সমাধান দিয়ে যেতে হবে।’

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সমিতির যৌক্তিক দাবির আন্দোলনকে দমানোর জন্য এক পক্ষ ব্যবহার করছে। আমরাও চাই ক্লাসে ফিরে যেতে; কিন্তু উপাচার্য কোনো সমাধান দিচ্ছে না। যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো এমন একটা বড় ঘটনা ঘটল।

The post কুবিতে শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত appeared first on Comillar Barta™.



from Comillar Barta™ http://ift.tt/2kA9K2S

January 27, 2017 at 05:05PM
27 Jan 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top