আগরতলা, ০১ জানুয়ারি- রিও অলিম্পিক্সে পদক না-জিতলেও নজর কেড়েছেন ত্রিপুরার জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। অলিম্পিক্সে ভল্টের ফাইনালে তিনি চতুর্থ হন। ফাইনালে অল্পের জন্য তিনি নিশ্চিত পদক হাতছাড়া করেছেন। এ হেন দীপা কর্মকার এখন কোথায়? কী ভাবে অনুশীলন চালাচ্ছেন তিনি? কেউ কি তাঁর খবর রাখেন? অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে সচিন রমেশ তেন্ডুলকর ও হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী ভি চামুন্ডেশ্বরনাথ বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন দীপাকে। শুধু দীপা নন, পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিককেও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। দীপা সেই গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আগরতলার রাস্তা প্রশস্ত নয়, তা ছাড়া দীপার রাজ্যে কাছেপিঠে নেই বিএমডব্লিউ গাড়ির কোনও সার্ভিস সেন্টার। তাই দীপা নিজের কাছে রাখেননি বিএমডব্লিউ। ফিরিয়ে দিয়েছেন তা। বিএমডব্লিউ-এর পরিবর্তে ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে রিও অলিম্পিক্সের সফল জিমন্যাস্টকে। প্রাপ্ত ২৫ লক্ষ টাকার কিছু অংশের বিনিময়ে দীপা কিনেছেন হুন্ডাই এলান্ট্রা গাড়ি। বাকি অংশ তিনি খরচ করছেন নিজের প্রস্তুতিতে। ভাবুন এক বার। রিও অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত সাফল্যের পরে তিনি গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকরের কাছ থেকে। সেই গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন, গাড়ির বিনিময়ে যে অর্থ পেয়েছেন দীপা, সেই অর্থ তিনি কাজে লাগাচ্ছেন নিজের প্রস্তুতিতে। কোনও দেশে এমন হয়! বিদেশে কি নিজেদের প্রস্তুতির খরচ চালান প্রতিযোগীরা? বিদেশি ক্রীড়াবিদদের খরচ বহন করে একাধিক স্পনসর। বিদেশের পরিকাঠামো ভারতের থেকে ঢের ভাল। এই পোড়া দেশে নেই কোনও নিয়ম। নেই শৃঙ্খলা। খেলার পরিকাঠামোও নেই। দীপার রাজ্য ত্রিপুরাতেই নেই জিমন্যাস্টিক্সের উন্নত পরিকাঠামো। তাই তাঁকে ঘর ছেড়ে যেতে হয় দিল্লিতে। বড় টুর্নামেন্টের জন্য সেখানেই নেন প্রস্তুতি। যে আর্থিক পুরস্কার উপহার হিসেবে পেয়েছেন, তা দিয়ে নিজের প্রস্তুতি সারছেন, এমন ঘটনা কেবল এ দেশেই দেখা যায়। অধিকাংশ ভারতীয় ক্রীড়াবিদের নিয়তি এমনই। তাঁদের না আছে সংস্থান, না পান অনুদান। নেই নেই-এর স্বর্গরাজ্যে থেকেই বড় মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য নিজেদের তৈরি করেন তাঁরা। ব্যতিক্রম নন দীপা। কেউ সফল হন, কেউ হন না।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iqshPh
January 01, 2017 at 05:02PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন