ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে নাস্তা করতে হলেও সঙ্গে লাখখানেক স্থানীয় মুদ্রা নিয়ে বের হতে হয়। দশ হাজারের নিচে এক বোতল পানিও কপালে জুটবে না। তাই বলা চলে, এখানকার সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।স্কুলের বাচ্চারাও টিফিন খরচ বাবদ মা-বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন লাখখানেক মুদ্রা পকেটমানি নিয়ে থাকে। রাস্তায় কয়েক হাজার পড়ে থাকলে কেউ ফিরেও থাকায় না।
গত কয়েকদিনে হ্যানয় শহরে হাতেগোণা কয়েকজন ভিক্ষুকের দেখা হয়েছে। এখানকার ভিক্ষুকরাও হাজার টাকার নিচে ভিক্ষা নিতে চায় না। বাসে চড়তে হলে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ হাজার খরচ করতে হয়। তাই রাস্তায় বের হলে কয়েক লাখ মুদ্রা সঙ্গে না থাকলে ফকির ফকির মনে হয়।
হ্যানয়েরর এয়ারপোর্টে নামার পর মাত্র ২’শ ডলার স্থানীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করার বের বেশ ভাল লাগছিল। কারণ হ্যানয় আসার আগে আমি ৩০/৩৫ হাজার টাকা ধার করেছি।
এখানে আসার পর প্রায় কোটিপতি হয়ে গেলাম। ভাবতেই ভাল লাগছে!
একসঙ্গে এত টাকার মালিক হওয়ার পর মনে হল দেশে ফিরে ঋণের টাকা পরিশোধের পরও আমার হাতে কয়েক লাখ থাকতাই বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে হ্যানয়ে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি চলে গেল। হ্যানয়ের পোলম্যান হোটেলে কিছু সময় বিশ্রামের পর খেতে গিয়ে ভয় পেয়ে গেলাম।
কারণ রেস্টুরেন্টের কোনো খাবারই ৪০/৫০ হাজার টাকার নিচে ছিল না। কয়েক দোকান ঘুরে অবশেষে প্রথম দিন ৮৫ হাজার খরচ করে খেয়ে আসলাম।
এখন প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকা খরচ করছি। এক কথায়, বলতে গেলে ব্যাগ ভর্তি ডং নিয়ে পকেটে করে জিনিস নিয়ে আসতে হয়।
তবে মনে হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যে আমি আবার কোটিপতি থেকে পথের ফকির হয়ে যাব। সেদিন এক দোকান থেকে মোজা কিনে আনলাম ৫০ হাজার খরচ করে। এই টাকা দিয়ে বাংলাদেশে যেকোনো ব্র্যান্ডের কয়েক জোড়া জুতা কেনা যেত অনায়াসেই।বে।
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2l8Qn1Z
February 05, 2017 at 12:10AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন