দিসপুর, ০৮ ফেব্রুয়ারি- এই রাজ্যে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে অবহেলা করার ঘটনার সংখ্যা যথেষ্টই উদ্বেগের। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজ পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপই তৈরি করে উঠতে পারেনি। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন পিতা-মাতাকে অবহেলা করার ঘটনা বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনার নির্দশনও সামনে এসেছে। যেমন, এই কলকাতা শহরের বুকেই আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি। প্রথমে বৃদ্ধ স্বামী বৃদ্ধা স্ত্রীকে খুন করেন। এরপর নিজে আত্মহত্যা করেন। কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কারণ হিসাবে সামনে এসেছিল সন্তানদের অবহেলার কথা। এমন ঘটনাও দেখা গিয়েছে, বৃদ্ধা বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে সন্তান। এমনকী, যে সব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে আছেন তাঁরাও যে খুব ভাল পরিস্থিতিতে আছেন এমনটা কখনও বলা যাবে না। বয়স হয়ে গেলেই বাবা-মা-কে পরিত্যাগ করার এই প্রবণতার বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ নিল আসাম সরকার এবং যা সিদ্ধান্ত নিল তাকে ঐতিহাসিকই বলা যায়। আসাম সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যে সব সরকারি কর্মীরা তাঁদের পিতা-মাতার দেখভাল করবেন না, তাঁদের মাইনে থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে এবং এই টাকা বৃদ্ধ বাবা-মা-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি সরকারি কর্মীকেই তাঁদের পিতা-মাতার দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছে আসাম সরকার। মঙ্গলবার অসমের বাজেট পেশ করতে গিয়ে সেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বৃদ্ধ বাবা-মা-র দেখভাল করা প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব। যদি, অসম সরকারের কর্মীরা এই কাজটি না করেন, তাহলে সরকারই দায়িত্ব নিয়ে কর্মীদের মাইনে থেকে টাকা কেটে নিয়ে বাবা-মার হাতে তুলে দেবে। বুধবার, অসমের বাজেট পেশের সময় এই প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী হিমন্ত শর্মাবিশ্বশর্মা। তবে, কবে থেকে এই নিয়ম চালু হচ্ছে তা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। কিন্তু, পাশের রাজ্য আসাম এমন দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও এমন কোনও নিয়ম চালু হয়নি। অথচ, এই রাজ্যে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে অবহেলা করার ঘটনার সংখ্যা যথেষ্টই উদ্বেগের। কিছু, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখভালের বিষয়টি নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বয়ষ্ক নাগরিকদের দেখভালের জন্য প্রণাম নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। কিন্তু, এটা একটি স্বেচ্ছেসেবী উদ্যোগ। সেখানে কোথাও বলা নেই বৃদ্ধ বাবা-মা-এর দেখভালে গাফিলতি হলে সন্তানের জরিমানা হওয়ার কথা। আর/১৭:১৪/০৮ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2kr3f5b
February 09, 2017 at 12:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন