কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি- শিলঈর ভাই সূর্য সেনগুপ্ত বলেন, গত ১০ দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জীবনবসান হয় শিল্পীর। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সঙ্গীত শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী সেনগুপ্ত বনশ্রীর মৃত্যুতে থার ব্যক্তিগত ক্ষতি উল্লেখ করে বলেন, বনশ্রী সেনগুপ্ত কিছুদিন আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে হতাশায় ভুগছিলেন। এসএসকেএমের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সেমন্তি মুখোপাধ্যায় বললেন, দীর্ঘদিন ধরেই লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন বনশ্রীদেবী। গত শনিবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হলে ওঁনাকে আইসিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, বনশ্রীদির চলে যাওয়াটা বড় ক্ষতি। শিল্পীর মরদেহ দুপুরে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার অনুরাগীরা। বনশ্রীর জন্ম হুগলির চুঁচুড়ায়। বাবা প্রয়াত শৈলেন্দ্রনাথ রায় ছিলেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের শিল্পী। ছোটবেলা থেকে পারিবারিক সাঙ্গীতিক পরিবেশেই বড় হয়ে ওঠা। বাবার কাছেই প্রথম শিক্ষা গানের। শান্তি সেনগুপ্তকে বিয়ে করে কলকাতায় চলে আসেন বনশ্রী। কলকাতায় আসার পর সুধীন সেনগুপ্তর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা। আরও অনেকের কাছেই শিখেছেন। কিন্তু টানা ২০ বছর ধরে সুধীনবাবুর কাছে তালিম নিয়ে গেছেন তিনি। বহু বাংলা ছবিতে গান গেয়েছেন। কয়েকশো গান রেকর্ড করেছেন। জীবনে পুরস্কার, সম্মানও পেয়েছেন অনেক। বনশ্রীর মৃত্যু শোক প্রকাশ করেছে বাংলা সঙ্গীত জগৎ। তার শেষকৃত্যের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছে রাজ্য সরকার। শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন, কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। এই দুঃসময়ে তার পরিবার ও ভক্তদের সমবেদনা। প্রয়াত শিল্পীকে মাটির মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন গায়ক শ্রীকান্ত আচার্য। এফ/২০:৪০/১৯ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2m0CaV2
February 20, 2017 at 02:40AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top