পাকিস্তানে একটি সুফি মাজারে গতকালের আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত আশিজন মারা যাবার পর কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন অভিযানে ৩৫ জনের বেশি জঙ্গী নিহত হয়েছে এবং বেশ কিছু লোককে আটক করা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট বলেছে সিন্ধু প্রদেশের ওই মাজারে তারাই হামলা চালিয়েছে।
মাজারের বাইরে ক্রুদ্ধ জনতা বিক্ষোভ করেছে।
পাকিস্তানে এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ এর জন্য দায়ীদের ছাড়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান জাভেদ বাজওয়ার হুঁশিয়ারি ছিল আরও কঠোর- তিনি বলেছিলেন, প্রতিটি রক্তবিন্দুর বদলা নেয়া হবে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী গতরাতেই কার্যত তাদের অভিযান শুরু করে দেয়। প্যারিামিলিটারি রেঞ্জার্স বলেছে, তারা সিন্ধু প্রদেশে জঙ্গীদের ওপর হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করে।
উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনতোয়ায় আরেক অভিযানে হত্যা করা হয় আরও ১৩ জনকে। সরকার দাবি করছে, বহু সন্দেহভাজনকে তারা আটক করেছে।
সিন্ধু প্রদেশের যে সুফি মাজারে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর পরও ভক্তদের ঢল থামেনি। বহু মানুষ সেখানে ভিড় করেছেন।
সেই মাজারের প্রধান রক্ষক সৈয়দ রাজা শাহ সাবজওয়ারি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলার কোন পরোয়া করেন না তারা।
তিনি বলেন, এরকম হামলা দিয়ে কাউকে বিরত করা যাবে না। বহু শতাব্দী ধরেই এরকম কাপুরোষোচিত হামলা চলছে। কিন্তু এতে করে ভক্তদের সংকল্প বরং আরও দৃঢ় হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকার এই হামলার জন্য আফগানিস্তানের দিকে আঙ্গুল তুলছে।
তারা আফগান দূতকে তলব করে জানিয়েছে, এই হামলার জন্য জঙ্গীরা আফগানিস্থানে ঘাঁটি করেছিল বলে তাদের কাছে প্রমাণ আছে। পাকিস্তান সরকার ৭৬ জন জঙ্গীর তালিকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে।
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2m3LN4t
February 17, 2017 at 11:33PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন