কলকাতা, ১৪ ফেব্রুয়ারি- বাংলা টেলিভিশনের রাশি এখন দেবীপক্ষ ধারাবাহিকের দেবী। ভীষণই রোম্যান্টিক একটি চরিত্রের পিছনে রয়েছেন যে অভিনেত্রী, তাঁর ভ্যালেন্টাইনস ডে কীভাবে কাটত ছোটবেলায়, জানালেন এবেলা ওয়েবসাইটকে। টেলি-নায়িকা গীতশ্রী রায় আলাদা করে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ঠিক বিশ্বাস করেন না। শুধু প্রেমদিবস নয়, ফ্রেন্ডশিপ ডে হোক বা মাদার্স ডে, কোনও কিছুই আলাদা করে সেলিব্রেট করেন না তিনি। ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই বললেন, আসলে আমার যদি কাউকে পছন্দও হয়, ডিরেক্টলি কখনও কাউকে বলিনি আজ পর্যন্ত। ইগোতে লাগত, আবার মনে হতো বলে দিলে যদি একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে যায়? কিন্তু স্কুলজীবনে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে খুবই মজা হতো। আমি কোএড স্কুলে পড়তাম। মনে আছে, স্কুলের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে ছেলেরা টুক করে আমাদের হাতে লেটার্স, চকোলেট, ফ্লাওয়ার্স দিয়ে দিত। স্কুল লাইফে ওই রকম অনেক ছেলেদের কাছ থেকেই গিফট পেয়েছি। তবে স্কুলের ভিতরে ওইটুকুই, টিচারদের ভয়ে প্রোপোজ করার সাহস ছিল না কারও। কিন্ত স্কুলের গেটের বাইরে অনেকে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। তারা অনেক সময় এসে প্রোপোজ করেছে কিন্তু স্কুলের ভিতরের মজাটা হল লুকিয়ে-চুরিয়ে উপহার দেওয়া কোনও ম্যাম দেখছে না তো? সেই বইখাতা দেওয়ার নাম করে তার মধ্যেই রোজ, চকোলেট সব গুঁজে দিত সবাই খুব মিষ্টি করে লিখত আই লাভ ইউ। কলেজজীবনে সচরাচর প্রেমদিবসের উদ্দীপনাটা বেশি থাকে কিন্তু কলেজের প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি ধারাবাহিক-নায়িকা তাই সেই সময়টা অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গে কেটেছে তাঁর। ভ্যালেন্টাইনস ডে-টা কেটেছে সিরিয়ালের ফ্লোরেই। কিন্তু উচ্চ-মাধ্যমিক পড়ার সময় একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল, জানালেন গীতশ্রী উচ্চমাধ্যমিক পড়তাম বাগবাজার মাল্টিপারপাসে আর তখন স্কটিশ চার্চের ছেলেদের থেকে প্রচুর অ্যাটেনশন পেতাম। আমরা যে বাসস্টপ থেকে বাস ধরতাম, ওরা প্রায় পালা করে ওখানে দাঁড়িয়ে ডিউটি দিত বলা যায়। আমরা যে বাসে উঠতাম, ওরাও সেই বাসে উঠত। কথাবার্তা হতো না কিন্তু ওই দেখাশোনাটা হতো আর কী! আর এই জিনিসগুলো ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই বেশি হতো। স্কটিশ চার্চের সেই ছেলেরা এখন যখন টেলিভিশনের পর্দায় গীতশ্রীকে দেখেন, তাঁদের কি পুরনো কথা মনে পড়ে? আর/১৭:১৪/১৪ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lf0SmF
February 14, 2017 at 11:41PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top