যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিথ কেলোগ

rযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জোসেফ কিথ কেলোগের নাম ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।

রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযোগ থাকা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের জের ধরে মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগ করেছেন। ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই ওবামা আমলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সরানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। ফ্লিন তা করে থাকলে তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। কেননা আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ।

পদত্যাগপত্রে ফ্লিন বলেন, তিনি অসাবধানতাবশতঃ তৎকালীন নির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্টকে আংশিকভাবে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার কথোপকথন সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ফ্লিন। সেই সঙ্গে ওই পদে অন্তর্বর্তীকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জোসেফ কিথ কেলোগকে।

৭২ বছর বয়সী কেলোগ ওহাইও অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৩৬ বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেনা কর্মকর্তা হিসেবে, কম্বোডিয়া যুদ্ধে বিশেষ কর্মকর্তা হিসেবে এবং ইরাক যুদ্ধে এয়ারবোর্ন ডিভিশনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এয়ারবোর্ন ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন।

সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর কেলোগ বেশ কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানিতে কাজ করেছেন। তিনি টেক-জায়ান্ট ওরাকলসহ প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কিউবিক ডিফেন্সেও কাজ করেছেন।

ফ্লিনের মতো হোয়াইট হাউসে অতোটা প্রভাব নেই কেলোগের। ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা শিবিরে তার খুবই সাধারণ সম্পর্ক ছিল। পরে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চিফ অব স্টাফ ও নির্বাহী সচিব হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে রুশ দূতের সঙ্গে ফ্লিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে শুরুতে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন ফ্লিন। কিন্তু বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর। ৯ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয় প্রকৃতপক্ষে ফ্লিন নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে আলোচনা করেছেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের একদিনেরও বেশি সময় পর ট্রাম্পও এ ব্যাপারে কিছু না জানার কথা বলেন। ট্রাম্প জানান, তিনি এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখবেন। ডেমোক্র্যাট দলের শীর্ষ নেতা ও মার্কিন গোয়েন্দাদের কেউ কেউ এ ব্যাপারে এফবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর আহ্বান জানান।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2l3yMc3

February 14, 2017 at 05:32PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top