চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় স্কুল ছাত্রী কণিকা রানী ঘোষ (১৪) কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার একমাত্র আসামী বখাটে আব্দুল মালেক (২৮) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া আদালত অপর তিন স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে ৩২৪ ধারায় তিন বছরের কারাদন্ড ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে। বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে শুক্রবার সকালে ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে কণিকা রানীসহ চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় আব্দুল মালেক তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কণিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আহত অপর ৩ ছাত্রী হচ্ছে, একই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তারিন আফরোজ (১৫), অরুনবাড়ি মহিপুর গ্রামের মোঃ তাজেমুল হকের মেয়ে তানজিমা আক্তার (১৪) ও বেহুলা গ্রামের মোকবুল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার আহত হয়। এরা মহিপুর এস এম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। মর্মান্তিক এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আব্দুল মালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় নিহত কণিকা রানীর মা অঞ্জলি রানী বাদী হয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক মাহমুদুর রশিদ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ২১ জন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার পরে নিহত কনিকার মা অঞ্জলি রানী অপর তিন ছাত্রী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তার এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত এ রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কৌসুলি জোবদুল হক বলেন, ‘১৫ কার্যদিবসে মামলাটি নিস্পত্তি হয়েছে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি ও আসামীর মৃত্যুদন্ড হওয়ায় আমার খুশি’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০২-১৭
দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে শুক্রবার সকালে ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে কণিকা রানীসহ চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় আব্দুল মালেক তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কণিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আহত অপর ৩ ছাত্রী হচ্ছে, একই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তারিন আফরোজ (১৫), অরুনবাড়ি মহিপুর গ্রামের মোঃ তাজেমুল হকের মেয়ে তানজিমা আক্তার (১৪) ও বেহুলা গ্রামের মোকবুল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার আহত হয়। এরা মহিপুর এস এম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। মর্মান্তিক এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আব্দুল মালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় নিহত কণিকা রানীর মা অঞ্জলি রানী বাদী হয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক মাহমুদুর রশিদ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ২১ জন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার পরে নিহত কনিকার মা অঞ্জলি রানী অপর তিন ছাত্রী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তার এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত এ রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কৌসুলি জোবদুল হক বলেন, ‘১৫ কার্যদিবসে মামলাটি নিস্পত্তি হয়েছে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি ও আসামীর মৃত্যুদন্ড হওয়ায় আমার খুশি’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০২-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2kqB5YV
February 01, 2017 at 07:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন