মুম্বাই, ২৬ ফেব্রুয়ারি- করণ জোহরের হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করেন তারকা পরিবারের কন্যা আলিয়া ভাট। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার থেকে যাত্রা শুরু তার। মিষ্টি হাসি, দুষ্টু চাহনিতে তরুণ প্রজন্মকে কাবু করা মেয়েটি বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া। অল্পদিনেই অনেক বড় নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন মেধাবী অভিনেত্রী। ইমতিয়াজ আলির হাইওয়ের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। শাহরুখ খানের বিপরীতে গৌরি শিন্ডের ডিয়ার জিন্দেগি এবং অভিষেক চৌবে পরিচালিত অনুরাগ কাশ্যপের উড়তা পাঞ্জাব ছবি দুটিতে অসাধারণ অভিনয়ের কারণে তিনি গতবছরের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই একাধিক ছবিতে অভিনয় করে তারকা খেতাব পেয়েছেন আলিয়া। এত অল্প বয়সে একাধিক সফল ছবি উপহার দেয়া অভিনেত্রী বলিউডে আলিয়া ভাট ছাড়া আর কেউ নেই বলেই মনে করেন অনেক নির্মাতা। যে কারণে নিজেদের ছবিতে তাকে নিতে মুখিয়ে থাকেন অসংখ্য পরিচালক। আগামী ১০ মার্চ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আলিয়া ভাট অভিনীত ছবি বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া। শশাঙ্ক খৈতান রচিত ও পরিচালিত এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। ছবিটি মুক্তি উপলক্ষ্যে আলিয়া ভারতীয় গণমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলসকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করে দেয়া হল। একজন শহুরে মেয়ে হিসেবে বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া ছবিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়া কেমন কঠিন লেগেছে? আলিয়া: এই ছবিতে আমি একজন আধুনিক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। মেয়েটি কোটা শহর থেকে এসেছে। সেখানকার মেয়েরা ভীষণ আধুনিক এবং খোলামেলা মনের। তারপরেও তাদের মধ্যে পারিবারিক দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। দেশিয় ঘরানার একটি সিনেমা বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া। তবে আমরা একে বেশি সাধারণ লুক দিতে চাই নি। তাই এই ছবিতে আমি বেশিরভাগ স্কার্ট ও কুর্তা পরেছি। আপনি এবং বরুণ ধাওয়ান একই ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা করেন। সহকর্মী হিসেবে আপনাদের রসায়ন কেমন? আলিয়া: আমি বরুণের সঙ্গে কাজ করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ খুব শুরু থেকেই আমরা একে অপরকে চিনি এবং জানি। অনেকেই মনে করেন স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ছবি থেকেই আমাদের পরিচয়। তবে তা সঠিক তথ্য নয়। আমরা এর অনেক আগে থেকেই বন্ধু। আমরা একে অপরের সঙ্গে খুবই আন্তরিক। মিডিয়াতে কাজ করা কঠিন মনে হয় না কখনও? আলিয়া: আমি সবসময় নিজেকে আলিয়া হিসেবে ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি এমন কেউ হতে চাই না, যে এয়ারপোর্টে হাই হিল পরে হেঁটে বেড়ায়। অভিনয় করা ছাড়া আমি আর কোন কাজ জানি না। যদি কখনও কিছু শিখতে পারি, তবে তাই করব। মানুষ আপনাকে আপনার কাজ দিয়েই বিচার করবে। কিন্তু আমরা তো একটি জীবনই পাই। তাই আমি মনে করি, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সবার জীবনযাপন করা উচিত। যখন আমার পোশাক নিখুঁতভাবে ইস্ত্রি করা থাকে না,বা একটু অগোছালো থাকে, তখন আমি মোটেও ঘাবড়ে যাই না। আমি নিজেকে বলি, এটি কোন ব্যাপারই না, এটিই তো স্বাভাবিক! আর কাপড় কুঁচকে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি তো সবসময় সেজেগুজে প্লাস্টিক হয়ে থাকতে পারব না। কিছু জিনিস তো বাস্তব থাকা উচিত। অসংখ্য সফল ছবির নায়িকা আপনি। বাড়িতেও কি আপনার সঙ্গে তারকাদের মত ব্যবহার করা হয়? আলিয়া: বাড়িতে আমার সঙ্গে একটি ছোট বাচ্চার মত আচরণ করা হয়। যেন আমি একটি শিশু! এবং আমি মনে করি, এমনই হওয়া উচিত। তারা আমাকে কখনই ভিন্ন চোখে দেখে না। একাধিক সফল চলচ্চিত্র উপহার দেয়া অভিনেত্রী আপনি। সিনেমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যাপার মাথায় রাখেন? আলিয়া: আমি এই ব্যাপারে বেশ সচেতন, তবে এক্ষেত্রে আমি কিছু নীতি মেনে চলি। অনেকে আমাকে কাপুর অ্যান্ড সন্স ছবিতে অভিনয় করতে মানা করেছিল। কিন্তু ছবিটিতে থাকা আমার গানগুলো ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। এছাড়াও অনেকে মনে করেছিল উড়তা পাঞ্জাব ছবিটি আমার ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাও আমি ছবিটিতে কাজ করি। এভাবেই ভবিষ্যতে আমি সিনেমা বাছাই করে যাব। বরুণ ধাওয়ান তার বাবা ডেভিড ধাওয়ানের নির্দেশনায় অভিনয় করছেন জুড়ুয়া ২ তে। আপনি কি কখনও ভেবেছেন আপনার বাবা মহেশ ভাটের নির্দেশনায় কাজ করার কথা? আলিয়া: তিনি আমাকে কখনই সিনেমায় নেবেন না। আমি এই আবেগের জায়গা অনেক আগেই পাড়ি দিয়ে এসেছি। জখম ছবিটির পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর কখনওই সিনেমা পরিচালনা করবেন না। যে কারণেই তার এই সিদ্ধান্ত হোক না কেন, আমি এটিকে শ্রদ্ধা করি। তবে তার লেখন ও পরিচালক স্বত্তা কখনওই হারিয়ে যাবে না। যখনই তিনি আমার ভালো কোন দৃশ্য দেখেন, তিনি আমার প্রশংসা করেন। অয়ন মুখার্জির ড্রাগন ছবির অংশ হতে পেরে আপনার অনুভূতি কি? আলিয়া: আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এটি একটি অতিপ্রাকৃত ছবি। অয়নের মতে ছবিটিতে শুধু একটি চরিত্র আছে, সেটি হচ্ছে ভালোবাসা। ছবির প্রধান অভিনেতা রণবীর কাপুর এই মুহূর্তে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এর কাজ শেষ হলেই আমরা ড্রাগন এর শুটিং শুরু করব। রণবীরকে ছাড়া আমি ছবির কোন প্রস্তুতিই নিতে পারছি না। সূত্র- ডেকান ক্রনিকলস আর/১২:১৪/২৬ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lRfMQo
February 26, 2017 at 06:44AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন