হোমনা প্রতিনিধি ● হোমনা উপজেলায় আলু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে আলাপকালে তাদের চোখে মুখে সেই আনন্দের ঝিলিকও লক্ষ্য করা যায়। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই এসব আলু উঠানো শুরু করবে এ অঞ্চলের সোনার মানুষ কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশে থাকায় এ পর্যন্ত আলুতে কোন রকম রোগ বালাই না হওয়ায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলেই এই বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৪শ’ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ করা হয়েছে।
যার অনুমান উৎপাদন ধরা হয়েছে ৮হাজার ৪শ টন। গত বছর ৩শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে উৎপাদন হয়েছিলো ৭ হাজার ২শ’ ৯৬টন। জানা গেছে, উপজেলার দড়িচর ব্লকের সফল চাষী খ্যাত লাল মিয়া জানান, আধুনিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গবেষনাকৃত আলু চাষে লাভবান হওয়া যায়। আমি এবছর ৪০ বিঘা জমিতে বেলিনি, এক্সটারিজ (লাল), ডায়মন্ড ও প্রদশর্নী প্লটে বুলু জাতের আলু চাষ করেছি। বিএডিসি’র মাধ্যমে সরকারী লোন হিসেবে বীজ, সার ও কীটনাশক দিয়েছে। যা আলু উত্তলোনের পর বিএডিসি হিমাঘারে সংরক্ষন করে সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে ব্যাংকের মাধ্যমে নামমাত্র সুদসহ কেটে রাখা হবে। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখনো পর্যন্ত কোন রোগ বালাই বা মরক দেখা যায়নি। তাই বাম্পার ফলনের কথা এবং খরচ বাদে ৪০ বিঘা জমিতে ১৫ লক্ষ টাকারও বেশী আয় হবে বলেও তিনি জানান।
এরপূর্বে ধান বীজ উৎপাদন করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ চাষী হিসেবে “সফল চাষী সম্মননা ও পুরস্কার’ পাই। হোমনা বিএডিসি’র উপ-পরিচালক মো. আবু তালেব মিঞা জানান, এ বছর হোমনায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বিএডিসির মাধ্যমে আমরা ২শ’ ৭৪ একর জমিতে ১শ’ ১ জন কৃষককে সহজ শর্তে বীজ, সার ও কিটনাশক দিয়েছি। আলু উৎপাদনের পর সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের আলু বীজসংরক্ষনের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ এবং লাভের টাকা কৃষকদের মাঝে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এবছর আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ১৫শ’ মেট্রিক টন আলু বীজ সংরক্ষন করার পরিকল্পনা করেছি।
তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছর পূর্বেও হোমনা বিএডিসি’র হিমাগারে দেশের অন্য অঞ্চলের আলু এনে সংরক্ষণ করা হতো। এবছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় হোমনার আলু বীজ অন্য উপজেলায় সংরক্ষনের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জুলফিকার আলী বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে আলু চাষ করলে কৃষক অধিক লাভবান হয়। আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে কৃষকদেরকে কৃষি কাজে উৎসাহ দিয়ে আসছি। যার ফলে প্রতি বছরই আলু, ভূট্টা, গম ও বুরোসহ বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। এবার আলু চাষে বাম্পার ফলনের মাধ্যমে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমি আশা করি।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2kLDRXP
February 14, 2017 at 12:01AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন