কানাগাওয়া, ১৩ মার্চ- জাপানের কানাগাওয়া কেনের ইয়োকোহামা শির কামি শুগেতা চোতে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বসন্তকালীন পিঠা উৎসব। এতে সাছায়ামা দানচি, কামোয় ও সাগামিহারায় বসবাসরত বাঙালি পরিবারগুলো অংশ নেয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। গতকাল ১২ মার্চ রোববার এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পিঠা উৎসব স্থানীয় বাঙালিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় ও অংশগ্রহণকারী নারীরা সবাই ঐতিহ্যবাহী প্রিয় পোশাক শাড়ি পরিধান করে এতে যোগ দেন। আবহমানকাল ধরে পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটা অংশ হয়ে আছে। পিঠা ছাড়া অতিথি আপ্যায়ন পরিপূর্ণ হয় না। প্রবাসে কর্মব্যস্ত জীবনে পিঠা তৈরি করাটা একটু কষ্টকর বটে। তবু সবাই খুব আনন্দ নিয়ে পিঠা বানিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বাইরের কনকনে শীত উপেক্ষা করে দুপুর থেকে নারীরা তাদের প্রত্যেকের হাতে তৈরি বাহারী পিঠা নিয়ে নিয়ে হাজির হন। পিঠার মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, দুধ পুলি, ঝাল পুলি, পাটিসাপটা, গোলাপ পিঠা, চিতই পিঠা, মুগ পাকন, ফুলঝুড়ি, সুজির পিঠা, জিলাপি পিঠা, ডিমের পানতোয়া. হাত বানানো সেমাই পিঠা, ঝাল অনথন ও চিকেন সমুচা। মিষ্টির মধ্যে ছিল কালোজাম, চমচম ও গোলাপ জামুন, সুজির মিষ্টি, হালুয়া। এ ছাড়া বাচ্চাদের জন্য ছিল চিপস, পুডিং ও চকলেট। সবাই মিলে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুরের খাবারের মধ্যে ছিল উম্মে সালমার তৈরি বিরিয়ানি, শিখা বৌদির কাবাব ও ডিম ভুনা এবং পম্পা ভাবির ঝাল চিকেন। অনুষ্ঠানে ছোট শিশু ইউকি নৃত্য পরিবেশন করে। আর ইউতো সবাইকে গান গেয়ে শোনায়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সালমা, সিলভিয়া, পাপিয়া, পম্পা, ঊর্মি, মারিয়া ও শিখা। তাদের সহযোগিতা করেন সোহেল, কবির, রিপন, অভিষেক, সঞ্জয়, সবুজ ও মানিক। এমন একটি অনুষ্ঠান করতে পেরে সবাই খুব আনন্দিত ছিলেন। আগামী বছর আবার পিঠা উৎসব করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বিদায় নেন সবাই। আর/১০:১৪/১৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2n1Cl5U
March 14, 2017 at 05:06AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন