সিঙ্গাপুর সিটি, ০৫ মার্চ- ভাষাশহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিঙ্গাপুরে বাংলার কণ্ঠ পত্রিকা ও সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা, বইয়ের পাঠ উন্মোচন, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় অমর একুশের ও দেশাত্মবোধক গান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যা সাতটায় সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ সেন্টারের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেয়ারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহন দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলার কণ্ঠ সম্পাদক এ কে এম মোহসীন। উপস্থাপনায় করেন অসিত কুমার বাড়ৈ বাঙালি। আলোচনার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এ কে এম মোহসীন। ভাষাশহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি প্রসাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। দুই বাংলার মাতৃভাষা বাংলা এবং সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার ব্যবহার চর্চা নিয়ে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোহন দত্ত। এ কে এম মোহসীন সিঙ্গাপুরে বাংলা ভাষার চর্চা, বাংলার কণ্ঠের ভূমিকা, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে যে বইগুলোর পাঠ উন্মোচন করা হয় সেগুলো হলো জেসমিন আলম মিনমিনের ও আমার দেশের মাটি ও ছন্দে ছন্দে স্বপ্নের দেশে, কামরুন নাহার রেনুর বেলে মাটির ঘর এবং অসিত কুমার বাড়ৈ বাঙালির ভালোবাসার ফেরিওয়ালা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি ও সভাপতি ছাড়াও জেসমিন মিনমিন ও তার স্বামী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং অসিত কুমার বাড়ৈ বাঙালি। জেসমিন মিনমিন তার লেখক জীবন ও বই সম্পর্কে দর্শক-শ্রোতাদের ধারণা দেন। বইয়ের পাঠ উন্মোচন করা হয় বাংলার কণ্ঠ প্রকাশনী থেকে। কবিতা আবৃতি করেন কবি মাহমুদুন নবী (সিকান্দার আবু জাফরের বাংলা ছাড়ো), এম জসীম (অসিত কুমারের লেখা আর চাই না)। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি আল ইসলাম (একুশে ফেব্রুয়ারি), কবি খলিল ইব্রাহিম (একুশ অগ্নিশিখা), কবি রাশিদুল ইসলাম (প্রবাস অনুভূতি), জাহাঙ্গীর বাবু (শহীদ মিনারে যাব না)। এ ছাড়া ছড়াকার হাসনাত মিলন একুশের ছড়া কবিতা, কবি শহীদুল ইসলাম তার একুশের গীতি কবিতা আবৃতি করেন। সংগীত পরিবেশন করেন বাংলার কণ্ঠ কালচারাল ফাউন্ডেশনের শিল্পী সমীর ভট্টাচার্য (আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি), শেখ শফি (সালাম সালাম হাজার সালাম), বি এম মিনহাজ (তীর হারা ঢেউয়ের সাগর), ফজলুল মণ্ডল (জন্ম যাদের একাত্তরের পরে) ও ইব্রাহিম খলিল (সোনা সোনা লোকে বলে সোনা)। তবলায় ছিলেন মাস্টার প্রদীপ ও কিবোর্ডে ফজলুল মণ্ডল। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। উল্লেখ্য একুশের প্রথম প্রহরে একই স্থানে সর্বস্তরের প্রবাসীরা ভাষা শহীদদের প্রতি অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। আর/১২:১৪/০৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2mRcpHm
March 05, 2017 at 07:07AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন