“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র শাহেদ বাঁচতে চায়”

এম.ডি আজিজুর রহমান ● এ্যাপোলো হসপিটাল থেকে ফিরে: ঝিনাইদহ উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ১৯তম ব্যাচের ছাত্র শাহেদুল ইসলাম খান বাঁচতে চায়। জানা যায় যে, ঝিনাইদহ উপজেলার মৃত মুমিনুল হকের ছেলে শাহেদ। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে শাহেদ (২৩) সবার ছোট। তার মা একজন গৃহিনী আর বাবা মুমিনুল হক গত ৩ মাস আগে  পরলোকগমন করেছেন। ফিন্যান্সে থেকে অনার্স শেষ করে ইন্টার্নশিপ করছিল শাহেদ। ভবিষ্যৎ দিনের সুন্দর স্বপ্ন যখন বাস্তবে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই ষ্ট্রোক নামের অভিশাপটি তাকে আকড়ে ধরে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রেইন-স্ট্রোক করে শাহেদ। চিকিৎসক বলেছেন হার্ট এ্যাটাকের কারনে ব্রেইন-স্ট্রোক হয়েছিলো। যে কারনে তার মাথার ব্রেন ফুলে যাওয়ায় জরুরী সার্জারি করার দরকার ছিলো। এ্যাপোলো হসপিটালে প্রাথমিকভাবে সার্জারি করে মাথার উপরে করোটির হাড়ের অংশ খুলে রাখা হয়েছে। তাছাড়া হার্টে ক্লট ধরা পড়েছে। হার্র্টের অবস্থাও খুবই খারাপ, এই মুহূর্তে সে লাইফ সাপোর্টে আছে। তার শরীরের কোন অঙ্গই ভাল মতো কাজ করছেনা।

চিকিৎসকের কাছে ওর মেডিকেল কেইসটা  অনেক অস্বাভাবিক। চিকিৎসক বলেছেন তার বর্তমান অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ এ নিয়ে যেতে হবে এবং সেজন্য প্রয়োজন প্রায় ১.৫ কোটি টাকা। প্রতিদিন আই সি ইউ এর খরচ নির্বাহ করাই যেখানে তার পরিবারের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, সেখানে ১.৫ কোটি টাকা বাবস্থা করা তো দুঃস্বপ্নের মত। তাই আজ নিতান্ত নিরূপায় হয়ে আপনাদের সামনে এসে দাড়িয়েছে। মাত্র তিন মাস আগে ছেলেটা তার বাবাকে হারায়। সে ই ছিলো পরিবারে একমাত্র আশার আলো।

আজ তার নিজের জীবনের প্রদীপ ই নিবু নিবু করছে। আমরা কি পারিনা শাহেদ কে তার মায়ের কাছে ফিয়ে দিতে? আমরা অন্তত চেষ্টা করতে পারি। দয়া করে যার যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। শাহেদকে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে দিন। অর্থের অভাবে এক অভাগী মায়ের বুকটা খালি হতে দিবেন না। মায়ের সন্তান হারানোর যন্ত্রনা পৃথিবীর সব যন্ত্রনাকেও হার মানাবে। আপনার একটু সাহায্যই পারবে শাহেদকে ফিরিয়ে আনতে।

মা, শেরিন হক জানান , গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহেদ ঢাকা এ্যাপোলো হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করে ফেলেছি। নিজেদের সহায় সম্ভল দিয়ে এতদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছি । বর্তমানে আর কোনভাবেই শাহেদের চিকিৎসার ব্যায় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না । অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন শাহেদের হার্টের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আর সঠিক চিকিৎসা পেলে ওর সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা ৯৯ শতাংশ। এদিকে নিরুপায় হয়ে তার মা সন্তান কে সুস্থ করতে বাংলাদেশের দেশের বিত্তবান ও আত্বীয় স্বজনদের কাছে সাহায্য র্প্রাথনা করেছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: 1.Shamima Nasrin Mita -A/c no: 013-111-0020302 Union Bank Ltd, Panthapath Branch.
2.Kaiser Rajib Sherpa- A/c: 18984250001 Standard Chartered Bank, Gulshan Branch (Head Office).
3.Kazi Rasel- A/c: 1641510212333 DBBL, Mirpur-10 Branch.
4.Bkash (Personal)- 01715-665754 (Rasel), 01711-084425(Tarif), 01685-185290 (Mou), 01756-539893 (Aatiq).
5.Rocket/ DBBL- 01937-4483732 (Rabbi), 015341-424350 ( Reyad) , 016718-289855 (Rafi).
Event Link: http://ift.tt/2mnWM9B



from Comillar Barta™ http://ift.tt/2mINXtv

March 14, 2017 at 09:01PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top