নতুন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আস্থায় আনতে না পারলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনকে ইসির অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল বিএনপি।
তবে কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন কুমিল্লাতেও।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) যেমনভাবে মাঠ ছাড়া ছিল বিএনপি। তেমনিভাবে কুমিল্লাতেও ভোটের দিন মাঠে নেই দলটির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে কুসিকে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সিটি কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বিএনপির এজেন্টরা অবস্থান নিলেও কেন্দ্রের বাইরে দলের কোনো নেতাকর্মী নেই। কেন্দ্র এলাকায় ক্যাম্পেইন তো দূরের কথা, কারো গলায় বিএনপি প্রার্থী সাক্কুর প্রতীক সম্বলিত কার্ড লক্ষ্য করা যায়নি।
অন্যদিকে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে সরকারদলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সকালে কয়েকটি কেন্দ্র ধানের শীষের সমর্থকদের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সে চিত্র।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সঙ্গে সাক্কুর ঘনিষ্ঠতাসহ কয়েকটি কারণে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই সাক্কুর সাথে নেই।
অন্যদিকে নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্কুর নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে গেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী।
পাশাপাশি কুমিল্লার স্থানীয় রাজনীতিতে তরুণদের প্রতিনিধি গায়ক আসিক আকবর গত নির্বাচনে সাক্কুর পক্ষে সরব থাকলেও এবার ছিলেন নীরব। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাক্কুর বিপক্ষেই প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
এসব কোন্দল কেন্দ্রীয় নেতারা মেটানোর চেষ্টা করলেও আজ ভোটকেন্দ্রের অবস্থা বলছে অন্যকথা। ধানের শীষের সমর্থকদের অনুপস্থিতিতে ভোটের ফল কেমন হবে সেটার অভাস মিলছে কুমিল্লাতে।
ভোটকেন্দ্রে নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল মামলা দিয়ে কুমিল্লায় আমাদের ২৯ নেতাকে তাড়া করছে। কয়েকজনকে আটকও করেছে। আরও কিছু বিষয় আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
কুসিক নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকবার প্রচারণায় এসেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আমরা বলে আসছি দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আর ২০১৪ সালের পর সেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেছিলেন নতুন নির্বাচন কমিশন আসাতে কিছুটা পরিবর্তন হবে। রকীবউদ্দিন দলীয় লোক ছিলেন না। তবে বর্তমান কমিশনার ছাত্রলীগের ক্যাডার। আওয়ামী লীগের ক্যাডার। তার কাজ থেকে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু তার সুযোগ ছিল ভালো কিছু করার।
নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোটের মাঠে না থাকার বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। জাল ভোট ও ধীরগতিতে ভোট গ্রহণের অভিযোগও করেন সাক্কু।
from Comillar Khabor – Comilla News http://ift.tt/2obkA4M
March 30, 2017 at 04:07PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন