কুমিল্লায় নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করার হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু। এবার প্রথম দলীয় নিবাচনেও সাক্কু ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন। তার সঙ্গে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। কিন্তু বসে নেই প্রার্থীরা। ভোটের হিসাবের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন উভয় মেয়র প্রার্থী।

কোন্দল আছে উভয় দলেই। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগ মানেই আফজল-বাহারের পুরনো বিরোধ। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে অধ্যক্ষ আফজল কন্যা সীমা নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর সেই পুরনো বিরোধের কথা আবারও নতুন করে সর্বত্র ঘুরে-ফিরে আলোচিত হচ্ছে।

সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং দলীয় জরিপেও নৌকার বিজয়ের লক্ষে সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং দলীয় মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার বাবা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের বিরোধ মেটানোর তাগিদ দেয়া হয়।

দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে এক সভার আয়োজন করা হয়। এতে দলীয় নেতৃবৃন্দ সকল মতবিরোধ ভুলে নৌকাকে বিজয়ী করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

জানা যায়, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কুসিকে দলীয় মেয়র প্রার্থী সীমাকে বিজয়ী করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ কর্মী সভায় সকল বিরোধ ভুলে গিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

যৌথ সভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও এমপি বাহার পন্থী নেতাদের নিয়ে কুমিল্লা ক্লাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সভার প্রধান অতিথি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, নেত্রীর নির্দেশের বাইরে গিয়ে কেউ নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তা বরদাশত করা হবে না। অনেকেই নিজেকে অনেক বড় নেতা মনে করেন, কিন্তু যখন নৌকা থাকবে না তখন কেউই বড় নেতা থাকবেন না। ভবিষ্যতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে চাইলে নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হউন।

সভায় সীমাকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, অতীতের ভুল থেকে অনেক শিক্ষা নিয়েছি- এবার হারতেও চাই না, ছাড়তেও চাই না।

যৌথ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শেখর, জাহাঙ্গীর আলম, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রব্বানি চিনু, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, মেরিনা জাহান, ডাক্তার শাম্মি আহম্মেদ, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় নেতাদের সকল মতবিরোধে ভুলে দলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে বিজয়ী করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্যোগে কুমিল্লার আওয়ামী লীগের দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বী আফজল খান ও সংসদ সদস্য বাহার গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার খবরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।



from Comillar Barta™ http://ift.tt/2mjkLGd

March 13, 2017 at 08:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top