নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লাকে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এবং মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত মহানগর হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন মেয়র পদের তিন প্রার্থী- বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, জেএসডির শিরিন সুলতানা ও স্বতন্ত্র মেজর (অব.) মামুন।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের উদ্যোগে আয়োজিত পরিচিতি ও জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে এই অঙ্গীকার করেন মেয়র প্রার্থীরা।
তবে মেয়র পদের আরেক প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের অধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় জমে ওঠে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
কুমিল্লা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থাপকের আহ্বানে তিন মেয়র প্রার্থী একে-অন্যের হাতে হাত রেখে নগরীর উন্নয়নে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
পরিচিতি ও জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানটি কাকে দিয়ে শুরু করা যায়- এর সমাধানে উপস্থিত তিন মেয়র প্রার্থীর নাম লিখে লটারি করা হয়। তাতে প্রথমে সাবেক মেয়র ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর নাম ওঠে।
মনিরুল হক সাক্কু
বক্তব্যের শুরুতে মনিরুল হক মেয়র হিসেবে তার গত মেয়াদের দায়িত্ব পালনের কথা তুলে ধরেন। একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়া এবং নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য পাঁচ বছর যথেষ্ট সময় নয়।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সে পরিকল্পনার অনেকগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে, আবার অনেক প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে। একটি নগরীকে শুধু পাঁচ বছরের মধ্যে উন্নত নগরীতে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সে জন্য দীর্ঘমেয়াদি সময় লাগে।’
অর্থায়ন একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে সাক্কু বলেন, বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তা পাওয়ার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন পড়ে। সব মিলিয়ে নগরীর বহু সমস্যা সমাধান করেছি, ভবিষ্যতে মেয়র নির্বাচিত হলে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি মেয়র থাকাকালে নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা ছিল। তিনি নিজেও নিবেদিত ছিলেন। বলেন, ‘নগরীতে ফোয়ারা, ফুলের বাগান, শিশুপার্কের উন্নয়নের মতো বহু কাজ আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে করেছি। আমি সবার সামনে এ কথা বলতে পারি, আমার কোনো ভয় নেই।’
পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
মেজর মামুন
লটারিতে দ্বিতীয় নাম ওঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর মামুনের। নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে মেজর মামুন মেয়র নির্বাচিত হলে কীভাবে নগর পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করবেন সেসব বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নগরীতে বিদ্যমান জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি ও খেলাধুলার প্রসারে ছোট-বড় ১০০টি মাঠ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ ছাড়া চুল পরিমাণ দুর্নীতি না করা এবং দুর্নীতি হতে না দেয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
শিরিন সুলতানা
মেয়র প্রার্থী শিরিন সুলতানা সিটি করপোরেশনের মেয়র হলে কীভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, এর আগে নগরে যে উন্নয়ন করা হয়েছে তা শুধু চোখ ধাঁধানো। সাময়িক রঙিন বাতি আর ফুলের বাগান গড়ে তুলে কি আর নগরীর উন্নয়ন সম্ভব। নগরীতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে জলাবদ্ধতা, মাদক, সন্ত্রাস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে নগরীকে বিশ্বের মধ্যে একটি রোল মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে উপস্থিত নাগরিকদের সামনে তিনি ওয়াদা করেন।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2my3qtN
March 16, 2017 at 10:00PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.