তেলেগু বাণিজ্যিক ছবির ধরনই বদলে ফেলেছিলেন তিনি। দক্ষিণ ভারতের ফিল্মফেয়ার জিতেছেন সাতবার। পেয়েছেন পদ্মভূষণও। অভিনয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত নাচ দিয়েও নজর কেড়েছেন। কেবল তাঁর নাচ দেখতেই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। গানের গলাও দারুণ। এই প্রতিভাটাও চলচ্চিত্র নির্মাতারা ব্যবহার করতে ভুল করেননি। এসবের পাশাপাশি চালিয়ে নিচ্ছেন নিজের ব্যবসা। রাজনীতিতে নামার পর সুনাম রয়েছে সে ক্ষেত্রেও। রাজ্য সরকারের পর্যটনমন্ত্রীও হয়েছিলেন একবার। সব মিলিয়ে তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে। হচ্ছিল চিরঞ্জীবীর কথা। শুরুটা করেছিলেন ১৯৭৮ সালে পুনাধিরালু দিয়ে। এরপর খিলাড়ি, গ্যাং লিডার, ইয়ামাকিনকারুডু, মারানা ম্রুডানগাম, ইন্দ্রচিরঞ্জীবীর হিট ছবির শেষ নেই। ১৯৯২ সালে তাঁর অভিনীত ঘরানা মগুডু প্রথম তামিল ছবি হিসেবে ১০ কোটি রুপি ব্যবসা করে। চিরঞ্জীবী পুরনো যুগের মানুষ। তবে হালের চালচিত্র বোঝেন ভালোই। সারা ভারতের মধ্যে তিনিই অভিনেতা হিসেবে প্রথম ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট চালু করেন। ইউটিউবে তাঁর ছবি ও মিউজিক ভিডিওর দর্শক অন্যান্য তেলেগু অভিনেতার চেয়ে বরাবরই বেশি। আরো এক দিক দিয়ে তিনি এগিয়ে১৯৮৭ সালে প্রথম ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে তিনি অস্কারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন। এ ছাড়া চিরজীবীর দখলে রয়েছে তেলেগু অভিনেতাদের মধ্যে ১০০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ছবিতে কাজ করার রেকর্ড। চিরঞ্জীবী অভিনীত সোয়াইয়াম কুরশিএবং পাসিবাদি প্রাণাম ছবি দুটি রুশ ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে। আর কোডামা সিমহাম রিমেক হয়েছে ইংরেজি ভাষায়; তেলেগু ছবির ইতিহাসে যেটি প্রথম দৃষ্টান্ত। এখনো দক্ষিণ ভারতের অনেক প্রেক্ষাগৃহে ব্যবসায় ভাটা পড়লেই চিরঞ্জীবীর পুরনো ছবি চালানো হয়। এ কারণে তাঁর আয়ও বরাবরই চোখে পড়ার মতো। ১৯৯২ সাল থেকেই তিনি এক কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে অভ্যস্ত। দ্য উইক ম্যাগাজিন এ জন্য চিরঞ্জীবীর উপাধি দিয়েছিল দ্য নিউ মানি মেশিন। যে অভিনয় দিয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন হঠাৎ। ২০০৭ সালে সাকুর দাদা জিন্দাবাদ ছবিতে কাজ করার পর ব্যস্ত হয়ে পড়লেন রাজনীতি নিয়ে। টানা ১০ বছর রুপালি পর্দায় অনুপস্থিতির পর অবশেষে তিনি ফিরলেন। ২০১৩ সালেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। কিন্তু মনের মতো একটা গল্পের অভাবে কেটে গেল আরো চার বছর। যেহেতু অনেক দিন বাদে নায়কের চরিত্র করব তাই একটা ভালো গল্প চেয়েছিলাম। দর্শক যেন আমাকে আগের মতোই গ্রহণ করে সেটাই চেয়েছিলাম, বলেন অভিনেতা। সেটা পেয়েও যান। যা চিরঞ্জীবীর ক্যারিয়ারের ১৫০তম ছবি। অভিনেতার প্রতি সম্মান জানিয়ে খিলাড়ি সিরিজের এই তৃতীয় ছবিটির নামকরণ করা হয় খিলাড়ি নাম্বার ১৫০। মুক্তির পর থেকেই ব্যাপক ব্যবসাসফল এ ছবির জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। ছবিটি প্রথম দিনই ৫০ কোটি রুপি ব্যবসা করে, ১০০ কোটি ছাড়ায় মাত্র চার দিনে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এ প্রজন্মের তেলেগু অভিনেতা আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু প্রমুখ। চিরঞ্জীবীর আসল নাম কোনিডেলা শিব শঙ্করা বারা প্রসাদ। এত দিন পর ১৫০তম ছবিতে এসে আসল নাম ব্যবহার করেছেন তিনি। না টাইটেল কার্ডের চিরঞ্জীবী বদলে যায়নি, বরং খিলাড়ি নাম্বার ১৫০-এ চিরঞ্জীবী অভিনীত দুটি চরিত্রের একটির নাম ছিল এটি! এফ/১৬:৩৫/১৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2m3WrNe
March 16, 2017 at 10:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন