নিজস্ব প্রতিবেদক ● মুক্তিপণ দাবিতে কুমিল্লায় প্রবাসী শামসুল হুদাকে (৩৮) হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের বিশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের এপিপি অ্যাড. সৈয়দা রেখা।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মনিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে পলাতক আসামি শিপন মজুমদার ওরফে রিপন (২২) ও একই উপজেলার আটগ্রাম সাকিনের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আসামি সাহাবুদ্দিন (২২) এবং নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রীকে আসামি তাসলিমা ওরফে সালমা (২৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রবাসী শামসুল হুদার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লতিব শিকদার গ্রামের মৃত পেয়ার আহম্মেদর ছেলে নিহতের বড়ভাই মো. জসিম (৪৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনাম আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বেলা দেড়টার সময় কুমিল্লা হাউজিং এলাকায় বিবর্তন নামক বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায় প্রবাসী শামসুল হুদা শামসুকে গ্রিলের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত শামসুল হুদার বড়ভাই। মামলা নং-৪২।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রীকে তাসলিমা ওরফে সালমাকে (২৬) আটক করে। পরবর্তীতে তাসমিলার দেখানো মতে, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মিয়ার বাজার বাসমতি নামক খাবার হোটেল থেকে অপর দু’আসামি একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মনিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে শিপন মজুমদার ওরফে রিপন (২২) ও একই উপজেলার আটগ্রাম সাকিনের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিনকে (২২) আটক করেন কোতয়ালী থানা পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন আসামি শিপন মজুমদার, সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। যার অভিযোগপত্র নং- ৩৪০। পরবর্তীতে মামলাটি ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি পলাতক শিপন মজুমদার, আসামি সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধান মতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের এপিপি অ্যাড. সৈয়দা রেখা এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. ইকরামুল হক ও ডিসেফন্স আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. নাইমা সুলতানা মুন্নী।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2nB8ph7
March 22, 2017 at 04:56PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন