চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক সময়ের খরস্রোতা মহানন্দা নদী নদী খনন, দূষন ও দখলমুক্ত করার দাবীতে মঙ্গলবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে শহরের রেহায়চার এলাকায় নদীর বুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য নেচার-এর উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে সেভ দ্যা নেচারের সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজ কর্মী সফিকুল আলম ভোতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মেস্তফা মন্টু, সেভ দ্য নেচার সমন্বয় কমিটির সদস্য শহীদুল হুদা অলক, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন দিলু, কামাল উদ্দীন, ডাবলু কুমার ঘোষ, পৌর কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান আরমান।
সমাবেশে বক্তরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫ কিলোমিটার। হিমালায়ের পাদদেশে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিপুল পরিমান পলি আসে উজান থেকে। কিন্তু ভারতীয় অংশে মহানন্দা নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানির প্রবাহ সারাবছরই কম থাকে। স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যহত হওয়ায় ভরাট হয়ে এ নদী এখন মৃতপ্রায়।
একটি নদী শুধু পানিই সরবরাহ করে না, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় যেমন মহানন্দা নাব্যতা হারিয়েছে, তেমনই নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশী জাতের মাছ, শুশুকসহ নানা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণি এবং জলজ উদ্ভিদ। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মহানন্দা। মানুষের জীবন-জীবিকা এবং পরিবেশের উপর পড়বে বিরুপ প্রভাব। আরো উদ্বেগেরে বিষয় হচ্ছে- নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় নদী তীর দখল করছে একশ্রেণীর অসাধু মানুষ। এছাড়া পৌরসভার সব ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দায়। ড্রেনের পানিতে দূষিত হচ্ছে নদী।
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৮ কঃ অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন-এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন। এছাড়াও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন-২০১৩ নামে একটি আইন সংসদে পাস হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে, সংবিধানের ১৮ কঃ অনুচ্ছেদ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন ২০১৩ অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরি ভূমিকা পালন করছেনা।
বক্তরা বলেন, সংবিধানে জীব-বৈচিত্র-জলাধার সংরক্ষণ এবং নদী রক্ষার কমিশনের তৃতীয় অধ্যায়ে ১২ নম্বর ধারায় নদী অবৈধ দখলমুক্ত এবং পূনঃদখল রোধ করা, নদী তীর দূষণমুক্ত রাখা এবং বিলুপ্ত বা মৃতপ্রায় নদী খননের বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে কমিশন। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখিনি কোনো প্রতিষ্ঠানকে।
বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে জেলার মিঠা পানির উৎস ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মহানন্দা নদী খনন করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে নিয়ে আনা, নদীর তীর দখল বন্ধ, সুয়েরেজের পানিতে নদী দূষণ বন্ধ করতে হবে।
সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে মহানন্দা নদী রক্ষা করবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০৩-১৭
সকালে শহরের রেহায়চার এলাকায় নদীর বুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য নেচার-এর উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে সেভ দ্যা নেচারের সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজ কর্মী সফিকুল আলম ভোতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মেস্তফা মন্টু, সেভ দ্য নেচার সমন্বয় কমিটির সদস্য শহীদুল হুদা অলক, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন দিলু, কামাল উদ্দীন, ডাবলু কুমার ঘোষ, পৌর কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান আরমান।
সমাবেশে বক্তরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫ কিলোমিটার। হিমালায়ের পাদদেশে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিপুল পরিমান পলি আসে উজান থেকে। কিন্তু ভারতীয় অংশে মহানন্দা নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানির প্রবাহ সারাবছরই কম থাকে। স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যহত হওয়ায় ভরাট হয়ে এ নদী এখন মৃতপ্রায়।
একটি নদী শুধু পানিই সরবরাহ করে না, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় যেমন মহানন্দা নাব্যতা হারিয়েছে, তেমনই নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশী জাতের মাছ, শুশুকসহ নানা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণি এবং জলজ উদ্ভিদ। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মহানন্দা। মানুষের জীবন-জীবিকা এবং পরিবেশের উপর পড়বে বিরুপ প্রভাব। আরো উদ্বেগেরে বিষয় হচ্ছে- নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায় নদী তীর দখল করছে একশ্রেণীর অসাধু মানুষ। এছাড়া পৌরসভার সব ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দায়। ড্রেনের পানিতে দূষিত হচ্ছে নদী।
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৮ কঃ অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন-এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন। এছাড়াও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন-২০১৩ নামে একটি আইন সংসদে পাস হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে, সংবিধানের ১৮ কঃ অনুচ্ছেদ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন ২০১৩ অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরি ভূমিকা পালন করছেনা।
বক্তরা বলেন, সংবিধানে জীব-বৈচিত্র-জলাধার সংরক্ষণ এবং নদী রক্ষার কমিশনের তৃতীয় অধ্যায়ে ১২ নম্বর ধারায় নদী অবৈধ দখলমুক্ত এবং পূনঃদখল রোধ করা, নদী তীর দূষণমুক্ত রাখা এবং বিলুপ্ত বা মৃতপ্রায় নদী খননের বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে কমিশন। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহন করতে দেখিনি কোনো প্রতিষ্ঠানকে।
বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে জেলার মিঠা পানির উৎস ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মহানন্দা নদী খনন করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে নিয়ে আনা, নদীর তীর দখল বন্ধ, সুয়েরেজের পানিতে নদী দূষণ বন্ধ করতে হবে।
সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে মহানন্দা নদী রক্ষা করবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০৩-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2o7x2mz
March 28, 2017 at 03:23PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন