নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশনের বিধান মেনে সোমবার মধ্যরাতে নগরী ছেড়ে যাচ্ছেন বহিরাগতরা।
এদিকে, কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোকেই ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হচ্ছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংরক্ষিত আসনে একজন করে ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করবেন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের এতো সব আয়োজনের মাঝেও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার দুপুরে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর নেতাকর্মী, সমর্থক ও এজেন্টদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
অপরদিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্তসহ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের দুইদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে নগরীতে ২৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হচ্ছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংরক্ষিত আসনে একজন করে ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করবেন।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোকেই ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় ৭২টি ভোট কেন্দ্র এবং সদর দক্ষিণ মডেল থানা এলাকায় ৩১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রতিটি কেন্দ্রে ২৪জন পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং র্যাবের ৮ সদস্যের একটি দল দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ঝুকিপূর্ণ দুইটি করে কেন্দ্রতে র্যাব ও পুলিশের আলাদা আলাদা মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়াও ভোটকেন্দ্রে আসার পথে কোনো ভোটার যেন বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য র্যাব ও পুলিশের মোবাইল টিম ওয়ার্ডগুলোতে টহলে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
নির্বাচনী ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশের ২৪ ঘণ্টায় ২৭টি পেট্রল টিম ডিউটি করছে। একটি টিমে ৬ জন করে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
কুমিল্লাস্থ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়জার জানান, র্যাবের ৩৩৮ জন সদস্য এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটের দুইদিন আগে থেকে এবং নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত টানা চারদিন ২৭টি ওয়ার্ডে ৮ জন করে ২১৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। অপর সদস্যরা সাদা পোশাকে নজরদারিসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2nnEO8F
March 27, 2017 at 09:13PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন