চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি ● চৌদ্দগ্রামে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি’র (বিএম) পরীক্ষার্থীরা। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী সকল প্রশ্নের উত্তর যথা সময়ে লিখতে না পারায় ক্ষুদ্ধ অভিভাবক মহল ফলাফলে বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ও খুঁটির ক্ষতি হয়। বৃষ্টি শুরুর আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে তেমন ক্ষতি না হলেও সারা রাতই উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। কিছু কিছু এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ দ্রুত সংযোগ চালু করলেও ধীরগতিতে কাজ করার কারণে সংযোগ দিতে পারেনি পিডিবি। ফলে আজকে অনুষ্ঠিত এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে মোমবাতি জ্বালিয়ে।
উপজেলার গুনবতী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহি উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ওই কলেজ কেন্দ্রের ৯টি কক্ষেই মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।
চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম শামসুদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আলো স্বল্পতায় ওই মাদ্রাসার টিনশেড দুটি কক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী ধরনী চন্দ্র দেব জানান, সোমবার রাতে ঝড় বৃষ্টির কারণে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর চৌদ্দগ্রাম অফিসের ডেপুটি জেনালের ম্যানাজার (ডিজিএম) মৃদুল কান্তি চাকমা জানান, সোমবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় বিভিন্ন স্থানে সমস্যা হয়েছিল। আমাদের লোকজন দ্রুত কাজ করে রাতেই কিছু কিছু এলাকায় সংযোগ চালু করেছে। বাকি এলাকায়ও দ্রুত সংযোগ চালু করতে পারব আশা করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে আলো স্বল্পতা দেখা দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে মোমবাতির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, তিনি চট্টগ্রামে বিভাগীয় কার্যালয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএমএ বাহারের শপথ অনুষ্ঠানে রয়েছেন। খুব সংক্ষিপ্তভাবে তিনি বলেন, এ সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়াটা দুঃখজনক। তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে বিদ্যুৎ কর্মীরা মাঠে কাজ করছে বলে আমি শুনেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৫৯৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তারমধ্যে এইচএসসি ২ হাজার ৮১৯ জন, আলিম ৬৫৬ জন ও এইচএসসি (বিএম) ১২০ জন। দুটি সরকারী কলেজসহ ৭টি কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম, চৌদ্দগ্রাম ফয়জুনেচ্ছা মহিলা মাদ্রাসায় এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2nAauWG
April 04, 2017 at 07:21PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন