সুচিত্রা সেন তার নাতনি রাইমা সেনের বিয়েটা দেখে যেতে চেয়েছিলেন। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে রাইমা বলেন, আমার বিয়েটা দেখে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল তার। এটাই ছিল তার শেষ ইচ্ছা। আমিও চেয়েছিলাম তার ইচ্ছাটা যেন পূরণ হয়। কিন্তু পারিনি। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে রাইমার চেহারার অদ্ভুত মিল রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, নানির সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর পর মুষড়ে পড়েন তাঁর মেয়ে মুনমুন সেন। রাইমা জানান, তিনি ও তাঁর বোন রিয়া সেনের নিজস্ব জগৎ থাকলেও তাঁদের মা মুনমুন সেনের পুরো জগৎ ছিল সুচিত্রা সেনকে ঘিরে। সুচিত্রা সেনের অভাব মুনমুন সেনই সবচেয়ে বেশি অনুভব করছেন। রাইমা বলেন, আমার মায়ের কাছে তার মা-ই ছিল সবকিছু। সুচিত্রা সেনের শেষ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে রাইমা বলেন, আমরা কেউই ভাবিনি তিনি এত দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। কারণ মৃত্যুর খুব কাছাকাছি এসেও তাঁর শারীরিক অবস্থা তত বেশি খারাপ ছিল না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়ির কী অবস্থা, তার খোঁজখবর নিতেন। ঘরের রান্না করা খাবার তাঁর জন্য আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। তিনি সেগুলো খেয়েছেন। কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে মারা যান বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2oHcKQu
April 06, 2017 at 11:13PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন