আনসারের গ্রাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের গুমরাগুলে গেলে পাওয়া যায় আনসারের মা নূরজাহান বেগমকে। সাংবাদকর্মীদের দেখে শিশুর মতো কান্না জুড়ে দেন তিনি।
”আমার ছেলের কোন খবর তোমাদের কাছে আছে নি?” বলেই কাঁদতে থাকেন। তিনি বলেন, পাঁচ পাঁচটি বছরেও ছেলের খোঁজ পেলাম না। আমাদের অচল সংসার। অকালেই নিভে গেল আমার আশার প্রদীপ। মনের ব্যথা ভর করেছে শরীরে। ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হার্টের অসুখে ভুগছি আমি। মৃত্যুর আগে ছেলের খোঁজ পেয়ে মরতে চাই।
স্বামী নিখোঁজের দূর্বিসহ যন্ত্রনা বুকে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন আনসারের স্ত্রী মুক্তা বেগম। স্থানীয় একাডেমীতে এখন শিক্ষকতা করেন তিনি। ওই একাডেমীতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে চাঁদনী।
তিনি বলেন, চাঁদনী সব সময় তার বাবা সম্পর্কে জানতে চায়। উত্তরে চোখের জল ফেলা ছাড়া আমাদের আর কিছুই বলার থাকে না। দেশবাসীর কাছে আমাদের প্রশ্ন- এভাবে আর কতো দিন অতিবাহিত করব আমরা? কী অপরাধ আমার? কী অপরাধ নিষ্পাপ শিশুটির?
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2pr3C2I
April 17, 2017 at 11:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন