ঢাকা: তিন সপ্তাহ ধরে ভেনিজুয়েলার রাজপথ বিরোধীদের বিক্ষোভ, সমাবেশে উত্তাল। তারা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ ও আগামী বছর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে। এ আন্দোলন থামাতে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় নির্বাচন চান এমন কথাও বলেছেন। সোমবার সেখানে আরো একটি বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে মাদুরো ওই প্রস্তাব দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, গত বছরও সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতামুলক সংলাপ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।
কারণ, বিরোধীরা অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট মাদুরো শর্ত ভঙ্গ করেছেন এবং তিনি কালক্ষেপণ করছেন। ওদিকে রোববার টেলিভিশনে বক্তব্য রাখেন মাদুরো। এ সময় তিনি মেয়র ও রাজ্য গভর্নর নির্বাচনের ধারণাকে অনুমোদন করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়টি উল্লেখ করেন নি। তিনি বলেন, নির্বাচন! হ্যাঁ, আমি এখন নির্বাচন চাই। এ জন্যই আমি রাষ্ট্রের ও সরকারের প্রধান। উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলায় রাজ্য গভর্নর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরে। স্থানীয় মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা এ বছরে। এসব নিয়ে গত তিন সপ্তাহ বিক্ষোভে উত্তেজনা থাকলেও শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভকারীরা নীরবতা অবলম্বন করে বিক্ষোভে অংশ নেন। এদিন তারা সাদা কাপড় পরেন। এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনে নিহত প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তারা।
মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, সাম্প্রতিক এ আন্দোলনে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। এখনও তার মধ্যে ৭ শতাধিক মানুষ রয়েছে বন্দি। ওদিকে দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খাদ্য, মৌলিক চাহিদা ও ওষুদের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ জন্য সরকারকে দায়ী করছে বিরোধীরা।
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2p8ef81
April 24, 2017 at 01:20PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.