কলকাতা, ১৬ এপ্রিল- কী এই নারদ কাণ্ড, কবে কী ভাবে শুরু হয়েছিল এই সংক্রান্ত বিতর্ক? জেনে নিন, ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নারদ কাণ্ড সাম্প্রতিক কালের বাংলার রাজনীতিতে সব থেকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। এই নিয়ে রাজ্যরাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। সোমবার এই কাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বদল ঘটল। সিবিআই এফআইআর দায়ের করল ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু কী এই নারদ কাণ্ড, কবে কী ভাবে শুরু হয়েছিল এই সংক্রান্ত বিতর্ক? জেনে নিন, ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ১। নারদ টেপ কী? পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অন্দরমহলে বাসা বেঁধে থাকা দুর্নীতির আবরণ উন্মোচনের লক্ষ্যে সংবাদসংস্থা নারদ নিউজ (তৎকালীন নাম) গোপন ক্যামেরার সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা, মন্ত্রী এবং এক জন আইপিএস অফিসারের টাকা নেওয়ার দৃশ্য ভিডিওবন্দি করে। তহেলকার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ম্যাথু স্যামুয়েলই এই গোটা স্টিং অপারেশনটির নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। সেই সময় নারদ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, টানা দু বছর ধরে গোপন ক্যামেরায় এই ভিডিওগুলি শ্যুট করা হয়। ২। টেপগুলি কখন প্রকাশ্যে আনা হয়? টেপগুলি প্রকাশ করা হয় ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ভিডিও ফুটেজে ১২ জন তৃণমূল নেতাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরাও। ৩। কী ভাবে স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল? ইমপেক্স কনসালটেন্সি নামে একটি কাল্পনিক সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে নারদা নিউজের কুশীলবরা তৃণমূল নেতানেত্রীদের কাছে পৌঁছন, এবং যাতে রাজ্যে তাঁদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চলতে পারে সেই প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে নেতামন্ত্রীদের টাকা দেন। পরে ম্যাথু দাবি করেছিলেন, তাঁরা মোট ৭২ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন। ৪। কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল? অভিযোগ উঠেছিল মোট ১৩ জন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন ১। এম এইচ আহমেদ মিরজা (বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক), ২। মুকুল রায় (রাজ্যসভার সাংসদ), ৩। সুব্রত মুখোপাধ্যায় (পঞ্চায়েত মন্ত্রী), ৪। সুলতান আহমেদ (সাংসদ), ৫। সৌগত রায় (সাংসদ), ৬। শুভেন্দু রায় (তৎকালীন সাংসদ, বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী), ৭। কাকলি ঘোষদস্তিদার (সাংসদ), ৮। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (সাংসদ), ৯। শোভন চট্টোপাধ্যায় (কলকাতার মেয়র), ১০। মদন মিত্র (তৎকালীন ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী), ১১। ইকবাল আহমেদ (বিধায়ক), ১২। ফিরহাদ হাকিম (পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী)। ৬। ভিডিও-র প্রতিক্রিয়া কী হয়? বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই টেপ প্রকাশিত হলেও, তৃণমূলের ভোটবাক্সে তা ধস নামাতে পারেনি। তৃণমূল গোটা স্টিং অপারেশনটাকেই ভুয়ো এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে। মার্চ ১৭, ২০১৭-এ অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-কে প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেয়। প্রয়োজন হলে এফআইআর দায়ের করার কথাও বলা হয়। ৭। সোমবার নতুন কী ঘটল? ভিডিও ফুটেজে যে ১৩ জনকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় ও আইপিসি-র ১২০বি (ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আর/১০:১৪/১৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2oEGxH5
April 18, 2017 at 05:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন