কলকাতা, ২১ এপ্রিল- টোকাটুকি রুখতে নয়া পন্থা জয়েন্ট এনট্রান্স বোর্ডের! পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার থেকে পেন, ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷ পরীক্ষায় ব্যবহার করার জন্য পরীক্ষার্থীদের পেন সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে বোর্ড৷ পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি ঘরে থাকবে দেওয়াল ঘড়ি৷ যাতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় দেখতে পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়৷ আগামী ২৩ এপ্রিল, রবিবার রাজ্য জয়েন্ট এনট্রান্সের ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও ফার্মাসির প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে৷ চলতি বছর থেকেই পেন, ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেন এমন সিদ্ধান্ত? বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর জানান, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পেন কিংবা ঘড়ির মাধ্যমেও টোকাটুকি করা সম্ভব৷ পেন, ঘড়িতে লুকানো ক্যামেরা, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার মারফত প্রশ্নের আদানপ্রদান, উত্তর পাঠানোর নজির রয়েছে৷ সে কারণে টোকাটুকিতে রাশ টানতেই এমন পরিকল্পনা৷ পরীক্ষা শুরুর আগে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বোর্ডের পক্ষ থেকেই পেন দেওয়া হবে৷ এ বছর পরীক্ষার্থী রয়েছে প্রায় এক লক্ষ আঠারো হাজারের মতো৷ তাদের সকলের জন্য ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ পেন কেনা হয়েছে৷ এছাড়াও কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল রয়েছে কি না তা দেখতে চলবে কড়া নজরদারি৷ পরিদর্শনের জন্য থাকছেন অতিরিক্ত পর্যবেক্ষক৷ তাঁদের কাছে থাকবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেকটর৷ এই যন্ত্র মারফত কোনও পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোন রয়েছে কি না তা জানা সম্ভব৷ ঘড়ি, পেনের পাশাপাশি ক্যালকুলেটর-সহ অন্যান্য যে কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও সঙ্গে নিতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্র৷ রবিবার জয়েন্টের প্রথম ধাপে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত রয়েছে অঙ্ক পরীক্ষা৷ দ্বিতীয় ধাপে ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত হবে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা৷ এবছর থেকেই শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও ফার্মাসির প্রবেশিকা হচ্ছে৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে সম্ভবত ৫ জুনের মধ্যে৷ ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীরা সকলে অনলাইনে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেছেন৷ অন্যদিকে আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১ মে রয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের প্রবেশিকা পরীক্ষা৷ পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য জয়েন্ট এনট্রান্স বোর্ড৷ ইতিমধ্যে অনলাইনে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ শুরু হয়েছে৷ কিন্তু বেশ কিছু পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন৷ তাঁরা এসে ভিড় জমান বোর্ডের কার্যালয়ে৷ তাঁদের সকলকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কর্তৃপক্ষ৷ এ প্রসঙ্গে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক পরীক্ষার্থী আবেদন জানানোর সময় ছবি দেননি৷ অনেকে ভুল করে অন্য ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডমিট ডাউনলোড করতে গিয়েছেন৷ ফলে তাঁরা অ্যাডমিট পাননি৷ তবে তাঁদের সকলের সমস্যার সমাধান করেছে বোর্ড৷



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2osJYji
April 21, 2017 at 08:44PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top