খুলনায় দেহরক্ষীসহ খুন হলেন বিএনপি নেতা মিঠু

খুলনায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪৫) দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নিজ অফিসে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় দুই দেহরক্ষী নওশের গাজী (৪২) ও সিরাজুল ইসলাম (৪৫) এবং মিঠুর শ্বশুর সৈয়দ সেলিমও আহত হন। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নওশেরের মৃত্যু হয়।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে মিঠু ফুলতলার নতুন হাটের নিজ অফিস মিঠু এন্টারপ্রাইজে বসে শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছিলেন। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলে পাঁচজন সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করে। তারা উপর্যুপরি গুলি করে। মিঠু মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, মিঠু ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ২০১০ সালের ৯ মার্চ সন্ত্রাসীরা মিঠুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল। ১৯৯৮ সালের ৬ মার্চ ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মিঠুর বাবা দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সরদার আবুল কাশেম ও ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট মিঠুর বড় ভাই সরদার আবু সাইদকেও সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রেজওয়ান শেখ জানান, তিনি ঘটনার সময় মিঠু এন্টারপ্রাইজের পাশের একটি হোটেলে খাওয়ার জন্য ঢুকছিলেন। এ সময় গুলির শব্দে তিনি বেরিয়ে আসেন। তখন দু’টি মোটরসাইকেলে পাঁচজনকে মিঠুর অফিসের সামনে থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন। এরপর তিনি সেখানে ছুটে যান এবং তার ভাতিজা নওশের গাজীকে গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি দ্রুত নওশেরকে তুলে নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পলাশ কুমার দে বাংলা ট্রিবিউনকে নওশের গাজীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2r5oTxs

May 27, 2017 at 02:59AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top