সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার মূল নেপথ্য কারণ ফাঁস হয়েছে। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ নামের একতি অনলাইন নিউজ পোর্টালের দাবি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সাফাতের পরিবার এবং তার সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে কারণটি জানতে পেরেছেন তাদের প্রতিবেদক উৎপল দাস।
সাফাতের চেয়ে কমপক্ষে ৭ বছরের বড় পিয়াসার বিয়ে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেননি আপন জুয়েলার্সের মালিক ও সাফাতের পিতা দিলদার আহমেদ। তার বিরোধিতার কারণেই সাফাত-পিয়াসার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন পিয়াসা। কিন্তু এরপরও তিনি বনানী ধর্ষণ মামলার পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন বলে অভিযোগ সাফাতের পরিবারের।
সাফাতের পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র পূর্বপশ্চিমকে জানিয়েছে, পিয়াসার সঙ্গে সাফাতের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিলন পিয়াসা। সর্বশেষ মিরপুরে আপন জুয়েলার্সের শোরুম চালুর সময় পিয়াসাকে পরিচালক করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু দিলদার তার ছেলে ও তার সাবেক স্ত্রীর আবদার মেনে নেননি। এরপরই পিয়াসা এই পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
পরবর্তীতে একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন পিয়াসা। বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর তিনি সুযোগটিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য মামলা করার আগে ধর্ষিতা দুই ছাত্রীর সঙ্গে কমপক্ষে ২ বার দেখা করে পরামর্শ দেন কিভাবে, কাকে কাকে মামলার আসামি করা হবে এসব বিষয়ে। বিষয়টি নিশ্চি করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, পিয়াসা সাফাতের বিরুদ্ধে ইয়াবা, পরনারী এবং তার বাবার অসদারচরণের অভিযোগ এনেছেন। আপন জুয়েলার্সের পরিচালক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে পিয়াসার মন্তব্য জানার জন্য তাকে ফোন করা হলেও ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সুরমা টাইমস এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ পোষন করে আসছিল। ধর্ষন একঠি জঘন্যতম এবং কাপুরুষতম অপরাধ। যে কোন ধর্ষনের বিচার হোক তা সব সময়ই সবাই চায়। আমরাও চাই। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে ধর্ষন মহামারি আকার ধারন করেছে। তবে দুঃখ হয় এখানে যখন রমজান আলীর আট বছরের শিশু মেয়েটাকে ধর্ষন করল যারা, তাদের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে বিচার না পেয়ে বাপ মেয়ে ট্রেনের নিচে আত্নাহুতি দেয়ার এতদিন পরও আসামিরা ধরা পড়েনা অতচ গভীর রাতে বনানীর হোটেলে ফুল দিয়ে ফুলসজ্জা করে ১ মাস পর বনিবনা না হওয়াতে ধর্ষনের মামলা।
আর এটা নিয়েই আমাদের মিড়িয়ার ঘুম নেই।
আগে স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম চাকরি বা মোস্ট কমনলি টিউশনি করতো। এখন একটু দেখতে ভাল হলেই অনেক উচ্চাভিলাষী মেয়ে এসকর্ট সার্ভিসে নাম লেখাচ্ছে। এবং এদের গ্রাহকের তালিকাও অনেক লম্বা (অসচ্চরিত্র রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী ও তাদের গুণধর বখাইট্টা ছেলেপেলে); এই সংক্রান্ত অসংখ্য রিপোর্ট পত্র পত্রিকায় এসেছে ও আসছে, যমুনা টিভিতে ক্রাইম 360 ডিগ্রিতে সচিত্র রিপোর্ট আছে প্রমাণ সহ।
ঐ রাত্রে কি হয়েছিল তা শুধু অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত বলতে পারে। এমনওতো হতে পারে, হয়তো দর কষাকষিতে সমস্যা হয়েছে। একজনের কথা বলে চারজন সার্ভিস নিয়েছে কিন্তু পেমেন্ট বাড়ায়নি। এমনকি দেড় মাসেও সমঝোতা হয়নি বিধায় সহজ সরল মেয়ে দুটো আইনের আশ্রয় নিয়েছে।এই ঘটনায় অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীরা যে পেছন থেকে তাল দিচ্ছে না, তারই বা নিশ্চয়তা কি?
একজন অভিযুক্তের সাবেক স্ত্রীও তাল দিচ্ছেন। যিনি আবার খবর পড়েন, মিডিয়ার লোক। দেশের নব্বই শতাংশ খবর পাঠিকা দেখতে ভালো বলেই নিয়োগ পেয়েছেন (বিবিসি বাংলার রিপোর্ট অনুসারে)।অনেক মধ্যবিত্তের উচ্চাভিলাষী মেয়ের টার্গেটই থাকে বড়লোকের ছেলে পটানো। টিকে গেলেই লাইফ সেটেল।তাছাড়া একটা সাভাবিক প্রশ্ন, গুলশান বনানীর এসব হোটেলের এসব পার্টিতে ছেলে মেয়েরা গভীর রাতে কি করে তা কি ওই সহজ সরল (?) মেয়ে দুটির ওজানা ছিল? ওরা জেনে শুনেই ওই পার্টিতে গিয়েছিল।
বড়লোকের বখে যাওয়া আদুরে ছেলে সাফাতকে তো রিমান্ডে কোন টর্চার করাই লাগবেনা। ওতো আমার মনে হয় পুলিশের রক্তচক্ষু দেখেই বলবে ভাই মারামারির দরকার নেই, কেমনে কিকি বলতে হবে বলে দিন আমি তেমনি করে আদালতে বা টিভি ক্যামেরার সামনে বলে দেব।হয়তো সাফাতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে ধর্ষনের অপরাধে, তবে জাতি অন্ধকারেই থেকে যাবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ryojes
May 24, 2017 at 12:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন