বরদাস্ত করবোনা ডাক্তারদের ওপর হামলা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যু”র অভিযোগে চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতেবাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বক্তব্য ।
সংবাদ সম্মেলন করে বিএমএ মহাসচিব ডা. মো: ইহতেশামুল হক
৩০ মে ২০১৭ খ্রিঃ মঙ্গলবার বেলা ০৩:০০টা , ভিআইপি লাউঞ্জ, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বেশ কিছুদিন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর’ নামে চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা এবং পরবর্তীতে চিকিৎসক হয়রানীর মামলা বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েক বছরে এধরনের প্রায় ৭৩টি হামলা-মামলার ঘটনা আমাদের গোচরীভূত হয়েছে। এছাড়াও এধরনের অসংখ্য ঘটনা অহরহ ঘটছে এবং চিকিৎসকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রতিটি ঘটনায় চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করে বিষয়গুলোর তদন্ত, চিকিৎসকদের শান্ত রাখা, রোগীদের ভোগান্তি না হওয়া এবং সরকারের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছে। বিগত ১৮ই মে ঢাকাস্থ সেন্ট্রাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসীর হামলা, ভাংচুর, চিকিৎসকদের মারধর ও তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসক গ্রেফতারের ঘটনা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং তা আমাদের সংক্ষুব্ধ করে তুলেছে। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃক একুশে পদক প্রাপ্ত প্রথিতযশা চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ কে প্রধান আসামী করে ‘রোগী মৃত্যুর’ জন্য চিকিৎসকের অবহেলাকে দায়ী করে একটা মামলা করা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও মাননীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় কে অবগত করা হয়। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তার নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা আশ্চর্য্য হয়েছি মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরের অন্য কোন আমলা/কর্মকর্তা আমাদের কোন খবরই নেননি। দেশের সকল চিকিৎসক ও চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠনের প্রতি তাদের এহেন উদাসীনতায় আমরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এধরনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা কোন ভূমিকাই রাখেন না। পরদিন এদেশের কয়েকটি পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যু’ হয়েছে বলে খবর প্রকাশ ও প্রচার করায় এদেশের ৭০ হাজার চিকিৎসককে অপমানিত, ক্ষুব্ধ ও নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে।
কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং নাগরিক হিসাবে সকলের কর্মস্থল নিরাপদ রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ অর্থাৎ স্বাস্থ্য কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নির্বিকার। অন্যদিকে গুটিকয়েক সংবাদপত্র, ঘটনা ঘটামাত্রই ‘চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু’ ফলাও করে প্রচার করে প্রতিনিয়তই জনগণ ও চিকিৎসকদের মধ্যে আস্থাহীনতার দেওয়াল তুলে দিচ্ছে। কৌশলে এই অবিশ^াস সৃষ্টির একমাত্র কারণ এদেশের ঈর্ষণীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এদেশের রোগীকে বিদেশে ঠেলে দিয়ে মুনাফা অর্জন। বিগত বছর সমূহে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া বাংলাদেশীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় এই ব্যবসার মুনাফাভোগীরা কৌশলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। এই বিষয়টুকু বুঝা কারো পক্ষেই কঠিন নয়।
ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় এদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিত্বগণ এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশে বিদেশে অবস্থানরত প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ হাসপাতালে ও চিকিৎসকের উপর এধরনের হামলা মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ, নিন্দা জ্ঞাপন ও গঠনমূলক সমালোচনা করেই চলেছেন যা ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়।
সংবিধানের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি অনুসারে সম-নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ বিজ্ঞান, চিকিৎসকরা এই বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করে। মানুষের জন্ম, মৃত্যু ও বেঁচে থাকা সর্বক্ষেত্রেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রয়োগ প্রয়োজন হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অনিবার্য দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। দুর্ঘটনার পরমুহূর্তে চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেই রোগীর স্বজনরা সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন। প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় কর্মস্থলে হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ। এ হেন পরিস্থিতিতে কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্র ও তার নির্বাহী বিভাগ রাখে নি। অথচ সংবিধানে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গত ১০ এপ্রিল কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিট মামলার শুনানী দেশের উচ্চ আদালতে হয়েছে। দীর্ঘ শুনানীর পর, সকল তথ্য বিবেচনা করে, হাইকোর্ট সরকারকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালত ০২ মাসের সময় বেধে দিয়েছেন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। দুইমাস পরে হাইকোর্টে এসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার প্রতিবেদন জমা দিতে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। রাষ্ট্র ও তার নির্বাহী বিভাগ চিকিৎসকদের প্রতি স্বেচ্ছাচারী হয়ে অন্যায়ভাবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে না, প্রতিবাদ করলে শাস্তি দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। কতৃপক্ষের ইচ্ছামাফিক অনিয়ম আদেশ না মানলে কথায় কথায় সিনিয়র চিকিৎসকদের উপর শাস্তির খড়গ নেমে আসছে, এ আচরণ ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সংস্কৃতি। উচ্চ আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ম ভঙ্গকারী নির্বাহী বিভাগ চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ ও শোষণ করছে। নিজেরা যেখানে অপরাধী ও যাদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ, তারাই আবার প্রশ্ন করে চিকিৎসকদের, কারণ দর্শাতে বলে নিয়মভঙ্গের। এ নির্লজ্জ নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে সিদ্ধান্ত হওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা কিভাবে কোন পদ্ধতিতে ও কি রকম ব্যবস্থাপনায় রোগীদের চিকিৎসা দিবে- এই নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাহী বিভাগ কোথায় পেলেন? শাস্ত্র ও জ্ঞান অনুসারে চিকিৎসকরা নির্ধারণ করবে রোগীর জন্য ব্যবস্থাপনা কিরূপ হবে। সে ব্যবস্থাপনায় রোগ নির্ণয়, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্র, উপকরণ ইত্যাদি নির্ধারণ করবে চিকিৎসক। রাষ্ট্র কেবল নির্ধারণ করবে জনবল নিয়োগ, বেতন কাঠামো, অবকাশ, কর্মঘণ্টা, অবসর, পেনশন রোগী চিকিৎসকের নিরাপত্তা ইত্যাদি। অথচ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করার নামে নিরাপত্তাহীনতা ও অব্যবস্থাপনার জন্ম দিয়েছে। উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে কেবল নিরাপত্তার বিষয় যদি সুরাহা হয়, সংবিধানের ধারার আলোকে আদালত যদি রাষ্ট্রকে নির্দেশ দেয়, তাহলে চিকিৎসকরা অন্তত শারীরিক লাঞ্ছনা থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা গৌরবোজ্জল অথচ সাম্প্রতিক সময়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে সংগঠিত একটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী ভুল চিকিৎসার ভুল অভিযোগ তুলে যেভাবে এদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাস্ট্রীয় সম্মান একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল্লাহ সহ ০৯জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, দুই জন চিকিৎসককে বেদম প্রহার ও প্রতিষ্ঠানটিতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে হাসপাতালে আগত ও ভর্তিরত মুমূর্ষু রোগীদের মাঝে যে ভীতি ও আতংকের সৃষ্টি করল তা কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষ করতে পারে না বা মেনে নিতে পারে না।
এদিকে বিগত ২২ মে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংগঠিত ঘটনার পূর্বাপর বর্ণনা করে তাদের হাসপাতালে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংবলিত একটি এফআইআর ধানমন্ডি থানায় জমা দিলেও থানা কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত সেটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করে নাই। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাসে চড়ে ঘটনাস্থলে আসা কিছু সন্ত্রাসী ও তাদের নির্দেশদাতার ভয়ে ভীত স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তার পুলিশ বিভাগ মামলাটি গ্রহন না করে জাতিকে কি বার্তা দিলেন?
যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। যাবতীয় বাস্তবতা বিচেনায় এনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন দেশের সকল চিকিৎসকদের পক্ষে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নি¤œলিখিত দাবিসমূহ পেশ করছি এবং তা দ্রæত বাস্তবায়নের অনুরোধ করছি। আমরা ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য কিছু কিছু কর্মসূচি গ্রহন করেছি এবং দ্রæত আমাদের দাবী মানা না হলে দেশের সকল চিকিৎসককে সাথে নিয়ে আমাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে যে কোন কর্মসূচি ও আন্দোলনে রাজপথে অবস্থান গ্রহন করবো-
দাবী সমূহ:-
১। সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করে তাদের সরবরাহকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসী ও তাদের ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃক দায়েরকৃত “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যু”র মামলাটির কার্যক্রম দ্রæত সম্পন্ন করা হোক। এতে যদি কোন ‘চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয় সেই চিকিৎসকের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক আর তা যদি না হয় তবে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা অবহেলার অভিযোগ করছেন এবং যারা ‘অবহেলায় রোগী মৃত্যু’র খবর প্রচার করছেন তাদের কাছ থেকে আদালতের রায় আনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহন করে জনগণের কাছে চিকিৎসকদের আস্থার জায়গাটি মজবুত করুন।
৩। ইত্যবসরে সংঘটিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করে মামলাগুলো তদারকি করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জরুরী ভিত্তিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বা পৃথক স্বাস্থ্য পুলিশ গঠন করে অবশ্যই সকল চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কোর্ট প্রদত্ত সময় সীমার মধ্যে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। এ ব্যাপারে বিএমএ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্যায় চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের হামলার বিষয়ে সেদেশের আদালতের নির্দেশনা/রায় গুলো বিবেচনায় রেখে এদেশের চিকিৎসকদের জন্য একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করার জোর দাবী জানাচ্ছে।
৫। চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বিএমএ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারকে মামলা হিসাবে গ্রহন করে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে চলমান রাখার দাবী জানাচ্ছে। বিএমএ চায় উক্ত মামলা দ্রæত নিষ্পত্তি হোক ও বিজ্ঞ আদালত প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান করুক।
৬। নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে “কৃত্য পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয়” গঠন আজ সময়ের দাবী। সে কারনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করতে হবে এবং ৮ম পে-স্কেলসহ পদমর্যাদা ও পদোন্নতির সকল অসঙ্গতির বিলুপ্তি ঘটাতে হবে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ronNio

May 31, 2017 at 07:36PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top