তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সদর বাজারে দু’ ব্যবসায়ীর ব্যাক্তিগত বিরোধ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর পক্ষ হয়ে অতি উৎসাহি মনোভাব দেখাতে গিয়ে তাহিরপুর থানার এক এসআইর নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে তাহিরপুর সদর বাজারে সাধারন ব্যবসায়ীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এসময় ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিতে এলে ওই এসআইর নেতৃত্বে সাধারন ব্যবসায়ীদের ওপর পুলিশ কমপক্ষে ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন।
পুলিশের রাবার বুলেটে এক নারী ও অপর এক শিশু সহ কমপক্ষ্যে অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিন জনকে তাৎক্ষণিক ভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর এক নারী ও এক শিশুকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের এনামুল হক ও ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ছুরত আলমের মধ্যে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সদর বাজারে মঙ্গলবার বিকালে ও বুধবার সকালে একে অপরের লোকজনকে দু’দফা মারপিট করার ঘটনা ঘটে। বুধবার ১২টার দিকে এনামূল হক ও ছুরত জামান ফের ৫শ টাকা নিয়ে কথাকাটির সময়ে তাহিরপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গে থাকা তিন কনষ্টেবলকে নিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদের ওপর বেধড়ক ভাবে লাঠিচার্জ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বাঁধা দিতে এলে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে এসে আবারো রফিকের নেতৃত্বে নিরীহ ব্যবসাীয়দের ওপর লাঠিচার্জ এবং রাবার বুলেট ছুড়া হয়। এতে এক পথচারী নারী, অপর এক শিশু সহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হন।
গুরুতর আহত মুজিবনুর (৪৫), আবদুল আউয়াল, ওয়াহাদনুর মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে আহত ৬ বছরের শিশু ফারহাদ ও অপর এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের লাঠিচার্জ পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে সাজুল লালন, সাজন, বাবুল , আতিক , অনিক , শ্যামল, জুয়েল মিয়া, মহসিন মিয়া, অদুদ মিয়াসহ অনেকেই আহত হয়ে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, ব্যবসায়ীদের তুচ্ছ সংঘর্ষের ঘটনায় অতি উৎসাহী হয়ে থানার এসআই রফিকুল ইসলাম অন্যায় ভাবে এক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মহসিন মিয়া জানান, সিলেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে জুয়েল নামের এক পথচারীকে রফিক এসসাই অহেতুক মারপিট করেন এবং গ্রামের ভেতর ডুকে এক নারীকে মারধর করেছেন।
এ বিষয়ে এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, নিজে বাঁচতে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়েছেন। গ্রামের ভেতর ডুকে এক নারীকে মাধধরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা লিখার কী আছে মারধর করার দরকার ছিল মেরেছি তাতে কী হইছে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, সদর বাজারে ব্যবসায়ীরে সংঘর্ষের কথা শুনে এসআই রফিকুল ইসলাম কে থানা থেকে বাজারে পাঠিয়েছিলাম ব্যবসায়ীদের দ্ধন্ধ থামাতে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2qG85vd
May 31, 2017 at 09:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন