ষমা চাইলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক

fঢাকা::দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। বুধবার দুপুর ১২ টার সময়ে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আসেন তিনি। এ সময়ে তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদও সঙ্গে ছিলেন।

দুপুর ১২ টার সময়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের ফাঁকি দিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের রুমে ঢুকে পড়েন তিন ভাই। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময়ে বের হন তারা।

এ সময়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খানের রুমে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তলব করেছে বিধায় এসেছি।

তারা যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তরও দিয়েছি। আমাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা কোনো কিছুই অবৈধ নয়। আমাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা স্বর্ণ ও ডায়মন্ড যদি অবৈধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সকল ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ ও ডায়মন্ড অবৈধ হবে।

দিলদার আহমেদ সেলিম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। এর সঙ্গে দুই লাখ লোক জড়িত। আমিও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সেক্রেটারি ছিলাম। তখন আমিও স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। বর্তমানে জুয়েলার্স সমিতিও চেষ্টা করছে। আমরা বৈধ ব্যবসা করি।

সরকারকে ভ্যাট দেই, ট্যাক্স দেই। আমাদের কাছে সব কাগজ পত্র আছে, জুয়েলার্স সমিতি আছে, আমাদের উকিল আছে আমি শুল্ক গোয়েন্দাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তারপরেও আমি কোনো অন্যায় করলে আমাকে ক্ষমা করবেন, দেশবাসীর কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি।

গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিপ্তরের পৃথক তদন্ত দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, মৌচাক, ও সীমান্ত স্কয়ার শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা উদ্ধার করে।

ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ থাকার দায়ে সাময়িকভাবে আটক করা হয়। মূল্যবান সামগ্রী সরবরাহের বিষয়ে কোনো ধরনের বৈধ দলিলাদি আপন জুয়েলার্স দেখাতে না পারায় এবং তথ্য যাচাই করে এগুলোর আমদানী ও ক্রয়ের উৎস শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের তদন্ত দলের কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এগুলো সাময়িকভাবে আটক করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেওয়া হয়।



from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qwL6nS

May 17, 2017 at 10:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top