রিয়াদ, ১৩ মে- সেবিকা হিসেবে ভাল বেতনে কর্মজীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান বাংলাদেশের মেয়ে নাসিবা (ছদ্ম নাম)। উচ্চাশা নিয়েই বাড়ি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। উপার্জন করে স্বাবলম্বী হয়ে তিনি নতুন জীবন গড়তে চেয়েছিলেন। পরিবারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় তাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন তা পাবেন। কিন্তু সৌদি আরবে পৌঁছানোর পরের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন। নাসিবা জানান, তারা আমাকে সেবিকার সহকারী হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সৌদিতে এসে পৌঁছানোর পর আমাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য তারা চাপ দিতে থাকেন। এমনকি তারা আমাকে মারধরও করেন। অবশেষে সেখানকার বাংলাদেশি দূতাবাসে পালিয়ে যান তিনি। এখন নিজের দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি। নাসিবা শত শত নারীর মধ্যে একজন, যারা সৌদি আরবে তাদের মালিকদের কাছ থেকে পালিয়ে গেছেন। রিয়াদে বাংলাদেশি দূতাবাস জানিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ৩২৯ জন নারী বাংলাদেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। গত মাসেই প্রায় পাঁচশ নারীকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলেও দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে। জেদ্দায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট জেনারেলে রয়েছে ৭৪ জন নারীও। যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাদের সবাই মিথ্যে আশ্বাসে প্রতারণার শিকার। অনেকেই সৌদি আরবে আসার আগে ভিন্ন চাকরির কথা শুনেছিলেন। কিন্তু উদ্ধার হওয়ার পরও তারা নিরাপদ নন। ধর্ষণ, নির্যাতন এখন ক্যাম্পের নৈমিত্তিক ঘটনা। কেউ জানেন না, কবে নাগাদ তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। কারণ সেই ক্যাম্পেও উদ্ধার হওয়া নারীরা গাদাগাদি করে আছেন। সেখানকার অনেক নারীই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর/১৭:১৪/১৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qdtAGE
May 13, 2017 at 11:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন