নুরুল হক শিপু ::
পবিত্র রমজান মাস শুরুর সাথে সাথে সিলেটের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে তৈরি করা হচ্ছে নানা স্বাদের হরেক রকমের বাহারি ইফতারি খাবার। গতবারের তুলনায় এবার রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতারি পণ্যের দাম বেশি হলেও যুক্ত হয়েছে আকর্ষণীয় কয়েকটি নতুন খাবার। ১০-১২ পদের ইফতারির প্রায় সকল হোটেল-রেস্টুরেন্টে আছে। এর বাইরে কিছু রেস্টুরেন্ট বিশেষ আইটেমও রয়েছে। অভিজাত কয়েকটি রেস্টুরেন্টে ইফতারির ২০-২৫টি আইটেম তৈরি করা হয়েছে। নগরীর প্রায় সকল রেস্টুরেন্টেই আখনি, খিচুরি, পিঁয়াজি, ছোলা, বেগুনি, আলুর চপ, খেজুর, বাখরখানি, জিলাপি রয়েছে। এগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
নগরীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, খাবারভেদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতারি আইটেমের চাহিদায়ও ভিন্নতা রয়েছে। কোনো রেস্টুরেন্টে ভুনা খিচুরি আবার কোনো রেস্টুরেন্টে আখনি আবার কোথাও পিয়াজু-ছোলা ও বেগুনির চাহিদা রয়েছে বেশি।
এদিকে, পুরান ঢাকার বিখ্যাত ইফতারি ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ পাওয়া যাচ্ছে জিন্দাবাজারের পালকি রেস্টুরেন্টে। বিশেষ এই আইটেম প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৮০০ টাকায়। আলোচিত এই আইটেম গত বছর বিক্রি হয় ১২০০-১৫০০ টাকায়।
পালকি রেস্টুরেন্টের পরিচালক কবির আহমদ জানান, ইফতারে পালকির বিশেষ আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘বড় বাপের পোলায় খায়’, মাটন লেগ রোস্ট ২৯০ টাকা, আস্ত মুরগর রোস্ট ৩৬০ টাকা, মাসালা চিকেন ১৮০২ টাকা, মাটন ভূনা ১২০ টাকা, বিফ ভূনা ৯০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৭০ টাকা, কোয়েল বড় ১০০ টাকা, বুন্দিয়া ১২০ টাকা প্রতি কেজি, বোম্বাই জিলাপি ১৪০ টাকা, রেশমি ২০০ টাকা, শাহি জিলাপি প্রতি পিস ৫০টাকা। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ৫০ টির মত ইফতারি আইটেম তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রথম ৫-১০ রমজানে মানুষ বাসা-বাড়িতে ইফতার করেন। তাই এ সময় বিক্রি কম থাকে। ১০ রমজান পর থেকে প্রতিটি খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়।
নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারে বারুতখানা পয়েন্টে অবস্থিত ইটওপিয়া থাই চাইনিজ কাবাব অ্যান্ড কারিতে গিয়েও দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে রমজানের প্রথম দিনই সজ্জিত তাদের ইফতারিগুলো। রেস্টুরেন্টির কর্মী মো. কামাল জানান, প্রতিদিন তাঁরা ২০-২৫ টি আইটেম তৈরি করবেন। এর মধ্যে রয়েছে তান্দুরি চিকেন ১৫০ টাকা। অন্যান্য খাবারের মধ্যে বিফ চাপালি ৭০, চিকেন উইনস ৩০, বুরহানি প্রতি লিটার ১৫০, চিকেন শাশলিক ১০০ টাকা, সবজি কোপ্তা ৩০ টাকা, ডিমচপ ২০ টাকা, বাখরখানি ১০ টাকা, পিঁয়াজু ১০ টাকা, বেগুনি ৫ টাকা। তেহারি ২০০ টাকা প্রতি কেজি, হালিম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, ফিরনি ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, জিলাপী (ছোট) ১৬০ টাকা কেজি ও বড় ১৫০ টাকা।
ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা পসরা সাজিয়েছেন হরেক রকমের। এর মধ্যে পিঁয়াজি, ছানাবোনা, বেগুনি, চপ, ডিম চপ, সাকের বড়া, আখনি, খিচুড়িসহ অনেক খাবার।
জেল রোডের ইফতারি বিক্রেতা সুলেমান মিয়া জানান, শাকের বড়া ২ টাকা, পিয়াজি ১ টাকা, বেগুন ও চপ ৫ টাকা, ভুনা চানা প্রতি কেজি ১শ টাকা এবং খিচুড়ি প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2r4Ry7i
May 30, 2017 at 01:39AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন