মসুল ট্রাজেডি: আকাশে আমেরিকা, নীচে আইসিস

aআমেরিকা ::

ইরাকে জাতিসংঘ বলছে আইএস এখন সরাসরি সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে। পালাতে গেলে গুলি ছুড়ছে। অন্যদিকে তাদের যুদ্ধবিমানের বোমায় বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানির কথা স্বীকার করছে আমেরিকানরা।

জাতিসংঘের হিসাবে অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া লড়াইতে মসুলে কমপক্ষে ৮০০০ বেসামরিক লোক হয় মারা গেছে, নয় গুরুতর জখম হয়েছে। প্রায় ৬লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

ইরাকে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী লিজে গ্র্যান্ডে বিবিসিকে বলেছেন, মসুলে জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি পানি এবং বিদ্যুতের সঙ্কট অবর্ণনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ইরাকী বাহিনী এবং পশ্চিমা মিত্ররা বলছে অক্টোবর শুরু হওয়া লড়াই শেষ হতে চলেছে। আইএস এখন মসুলের পুরোনো শহরটির কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইরাকিদের হিসবে মতে, মসুলে এখন আইএসের বড়জোর হাজার খানেক যোদ্ধা রয়েছে। অক্টোবরে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ থেকে ছয় হাজার।

কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, চূড়ান্ত পর্যায়ের এই লড়াই আটকে পড়া মানুষজনের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে এনেছে।

জাতিসংঘ ত্রাণ সমন্বয়কারী বলছেন, “একদিকে আইএস এখন সরাসরি সাধারণ মানুষজনকে টার্গেট করছে, অন্যদিকে খাদ্য আর ওষুধের নিদারুণ সঙ্কট চলছে, পানি এবং বিদ্যুৎ বলতে গেলে নেই। ভেতর থেকে পাওয়া খবরাখবরে বোঝা যায় আটকে পড়া লোকজন ঘোরতর বিপদে পড়েছে।”

শুধু যে আইএসের হাতে প্রাণ যাচ্ছে তাই নয়, ইরাকি বাহিনী এবং তাদের সমর্থিত যোদ্ধাদের গোলাবর্ষণ এবং আমেরিকানদের বিমান হামলাতেও দেদার প্রাণহানি হচেছ।

যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেছে এক মার্চ মাসেই মসুলে তাদের বিমান হামলায় ১০৫ জন ইরাকির জীবন গেছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় বের হওয়া খবরে এই সংখ্যা দু’শর মত।

শুধু যে আইএস যোদ্ধা বা মসুলে আটকে পড়া লোকজনের প্রাণ যাচ্ছে তাই নয়। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসে মসুলে ইরাকি সেনাবাহিনীর ৭৭৪ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৪৬০০।

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের পূর্বাংশ জানুয়ারিতে সরকারি বাহিনীর কব্জায় চলে আসে।

কিন্তু সরু অলি-গলি আল ঘনবসতির কারণে পশ্চিমাংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ইরাকি বাহিনী এবং তাদের মিত্রদের।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2s4auBU

May 28, 2017 at 08:34PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top