ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে ভারত। তবে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ চাইলে যেকোনো সহযোগিতায় প্রস্তুত থাকবে দিল্লি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি ডিকাব আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠান ডিকাব-টক এ তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় দূত তার সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। এ সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই জানিয়ে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমরা প্রচণ্ডভাবে চেষ্টা করছি আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে দূরে থাকতে। আমি মনে করি- আমরা এতে অনেকটাই সফল হয়েছি। হাইকমিশনার এও বলেন- আমাদের চেষ্টা হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো ফ্যাক্টর না হওয়ার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না জড়ানোর। তবে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ চাইলে যেকোনো সহযোগিতায় ভারতের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনাদের কী দরকার তা আমরা বলবো না। আপনারা আমাদের বলবেন, কী দরকার? আমরা তা করবো।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গত জুলাইয়ে সন্ত্রাসী ঘটনার পর, আমরা যেমন আপনাদের বলিনি- এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রস্তাব করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল- কী দরকার। কমান্ডো ট্রেনিং, বিশেষ ইকুইপমেন্ট, নজরদারি ইকুইপমেন্ট? কি লাগবে আমাদের বলো। একইভাবে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশকেই বলতে হবে, কী প্রয়োজন? আমরা তা করবো। কিন্তু অনুরোধ বাংলাদেশের কাছ থেকেই আসতে হবে।’ দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকা বাংলাদেশের বহুল আকাঙিক্ষত তিস্তাচুক্তি প্রসঙ্গে ভারতীয় দূত অনুষ্ঠানে দেয়া তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তাদের দুজনের মেয়াদকালেই চুক্তিটি সই হবে। ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে ডিকাব টক-এ হাইকমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের আগে তিস্তাচুক্তি হবে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়টি একান্তই আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিস্তাচুক্তি হবে কি-না বা কিভাবে হবে সেটি আমি জানি না। তিস্তাচুক্তির বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে কথা হয়েছে এর বাইরে আমার কিছুই বলার নেই। তবে এটুকু বলবো চুক্তিটি দ্রুততম সময়ে হবে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় সীমান্ত হত্যা কমেছে। চলতি বছরে এটি ২০-এর নিচে চলে এসেছে। তবে একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। তিনি বলেন, বিএসএফ জওয়ানরা জীবন রক্ষার্থে অনেক সময় গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা রয়েছে। ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান স্বাগত বক্তৃতা করেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2qTWool
May 24, 2017 at 09:13AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন