কলকাতা, ২৯ মে- এর আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে। সে তালিকায় যোগ হল আরও একটি ঘটনা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকুমারী কেশরী। কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হিজড়া বলে অভিহিত করেন তিনি। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। নানামহল থেকে এর নিন্দা করা হয়। রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও, আক্রমণের ক্ষেত্রে রুচিহীনতার নিন্দা করেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরাও। যদিও দেখা গেল সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। এবার সেই একই ছাঁচে কুরুচিকর ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকুমারী কেশরী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার উল্লেখ করে, মুখ্যমন্ত্রীকে একেবারে ভিক্ষুকের পর্যায়ে নামিয়ে আনেন তিনি। শুধু তাই নয়, অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একসময় অটলবিহারী বাজপেয়ীকে বাবার আসেন বসিয়েছিলেন মমতা। তারপরই তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর আসল বাবা তাহলে কে? রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের হিজড়া বলেও অসম্মান করেন তিনি। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী পরে এক সভায় জানিয়েছিলেন, এত ঔদ্ধত্য আসে কোথা থেকে, যে তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়? খেদ করে তিনি বলেছিলেন, অন্য কোনও রাজ্য হলে এ নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ শুরু হত। এই ধরনের রাজনীতিতে তাঁর লজ্জা হয় বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও ইতিমধ্যেই এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশিষ্টরা। রাজনীতিতে এ ভাষা কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি তাঁদের মত, রাজ্যের প্রাপ্য পাওনা চাইতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন কথা শুনতে হবে? তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিশিষ্টদের। বাম আমলেও বিভিন্ন সময় কটুক্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে মমতাকে। সে জমানা ফুরিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে বিরোধী হিসেবে দ্রুত উত্থান হচ্ছে বিজেপির। যদিও দেখা যাচ্ছে, বিরোধিতা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত কুরুচিকর আক্রমণের জমানা এখনও শেষ হয়নি। সাম্প্রতিক এ ঘটনা যেন তা চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন আর/১২:১৪/২৯ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qsgB1r
May 29, 2017 at 06:18AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top