মুম্বাই, ২৭ জুন- বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তীর তিন ছেলে। এবং একটি মেয়ে। যাঁকে তিনি কলকাতা থেকে দত্তক নিয়েছিলেন। একেবারে কোলের শিশু ছিল দিশানি। তাঁকে পরম স্নেহে আপন করে নিয়েছিলেন মিঠুন। আর এখন সেই দিশানিই রীতিমতো বলিউড কাঁপাতে তৈরি হচ্ছে। ছোট্ট দিশানি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। স্যোশাল নেটওয়ার্কিং ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে তাঁর ত্রিশ হাজারের বেশি ফলোয়ার। ছোট থেকে সেভাবে লাইমলাইটে না থাকলেও বর্ডারলাইন দিয়েই ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। আর সদ্য যৌবনে পা দিয়েই এবার সিনেমাকেই নিজের ধ্যানজ্ঞান করতে মরিয়া তিনি। রক্তে যখন অভিনয় তখন তিনি বলিউডের আগামিদিনে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে পারেন। মিষ্টি হাসির ছোট্ট দিশানি ছোটবেলা থেকেই মিঠুনের পরিবারে আসার পর থেকেই তিনি সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছেন। মিষ্টি হাসির দিশানি সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক মেয়েরা এমনিতেই একটু বাবা ঘেঁষা হয়। আর দিশানিকে তো মিঠুন নিয়ে এসেছেন। ফলে তিনি যে ছোট থেকেই বাবার আদরের হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক তিন দাদার সঙ্গেই দিশানির দারুণ সম্পর্ক। দাদারা বরং তাঁকে সবসময় আগলে রেখে বড় করেছেন। বাবা বাদে সমস্ত আবদার তাঁর দাদাদের কাছেই ছিল। আর তিনজনেই বোনের আবদার পূরণ করেছেন। দিশানির পড়াশোনা দিশানি যেহেতু অভিনয়কেই পেশা করতে চান, তাই প্রস্তুতি নিতে এই মুহূর্তে তিনি নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করছেন। স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ আজকের প্রজন্মের প্রায় সকলেই স্যোশাল মিডিয়ায় হাত পাকাতে শিখে গিয়েছেন। যারা অভিনয় করছেন অথবা যারা এখনও অভিনয়ের জগতে পা রাখেননি, সকলেই এই মাধ্যমকে হাতিয়ার করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করেন। দিশানিও তার বাইরে নয়। সেলফি অবসেশন আজকের প্রজন্ম সেলফির নেশায় বুঁদ। দিশানিও তার বাইরে নন। তাঁর স্যোশাল মিডিয়া পোস্টগুলি দেখলেই বোঝা যায় সেজেগুজে সেলফি তুলতে কতটা ভালোবাসেন তিনি। বলিউডেও পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তীর মেয়ে হওয়ার সুবাদে বলিউডেও ভালো পরিচিতি রয়েছে দিশানির। ছোট থেকেই বাবার হাত ধরে শ্যুটিং স্পটে পৌঁছে যেতেন দিশানি। ফলে বড় তারকাদের সকলের সঙ্গেই কমবেশি আলাপ রয়েছে। বলিউডে ডেব্যু খুব শীঘ্রই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন দিশানি। কবে, কীভাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সব ছোট-বড় পার্টিতে তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা মিঠুন। ফলে দিশানিকে বড় ব্যানারের প্রযোজকরা যে নিতে রাজি হবেন তা বলাই যায়। তা না হলে বাবা মিঠুন তো রয়েইছেন। আর/১২:১৪/২৭ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tePzQm
June 27, 2017 at 06:54AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন