ঢাকা, ২৩ জুন- প্রযোজক ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেছেন, আমাদের জান থাকতে সিনেমা হলে বিদেশি ছবি চালাতে দেব না, প্রয়োজনে আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে সিনেমা হলে ১০০ ডিজিটাল মেশিন বসাব। শুক্রবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) অবস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও সিনেমা হলে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে রাজপথে তুমুল আন্দোলনের পরেও আলোচিত-সমালোচিত যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি নবাব ও বস-টু বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পায় ঈদের জন্য। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই ঐক্যজোটের নেতারা জরুরি সভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সিনিয়র অভিনেতা ফারুক, আলমগীর, রিয়াজ, পপি, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, ডিপজলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, যেভাবে চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে সেটা ঠেকাতে করণীয় আজই ঠিক করতে হবে। চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা আবেগ থেকে যাই বলি না কেন, আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমি চাই সেন্সর বোর্ড থেকে গুলজার ভাই ও দিলু ভাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। আশা করি তারা সেটা করবেন। এ সময় চিত্রনায়ক শাকিব খানেরও সমালোচনা করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। নায়ক আলমগীর বলেন, শাকিব খানকে আর ক্ষমা নয়। এর আগে শাকিবের ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে ভুল করেছিলাম। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ফারুক ভাইকে নিয়ে যে কমেন্ট করেছে তা ক্ষমা করা হবে না। তাকে বয়কট নয়, তার শাস্তি চাই। সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে তা স্বাগত জানাব। তিনি বলেন, যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা মেনে নেয়া হবে না। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময় চাই কিন্তু তার নামে অনিয়ম চাই না। আমরা দেরি করে আন্দোলন শুরু করায় ছবি দু`টি সেন্সর পেয়ে গেছে। ঈদের পর যেন এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়।সভায় যৌথ প্রযোজনার নামে চলমান এই প্রতারণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে শিল্পী সমিতি থেকে শাকিব খানের সদস্যপদ বাতিলেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে প্রদর্শন না করার দাবিতে গত ১৮ জুন থেকে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট আন্দোলনে নামলেও ছবি চালানোর কথা বলেছেন প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট ও হল মালিকরা। কলকাতার সঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বস-টু ও নবাবকে ঘিরেই মূলত চলমান এ বিতর্ক। এরই মধ্যে ১৮ জুন রাতে এক সংবাদ সম্মেলন করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এ সময় প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট, হল মালিক ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, `যৌথ প্রযোজনার নবাব ও বস-টু সিনেমা মুক্তি না দিলে সিনেমা হল ঈদে বন্ধ করে রাখা হবে।` পাল্টাপাল্টি এ পরিস্থিতিতে গত ২১ জুন বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পায় ছবি দুটি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tCkVgC
June 24, 2017 at 03:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন