ঢাকা, ২৩ জুন- দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রাথমিক দল ঘোষণার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলেছিল ঘরোয়া ক্রিকেট যারা ভালো পারফর্ম করবে তাদের সুযোগ মেলবে। কিন্তু নির্বাচকদের কথা কাজে মোটেও মিল পাওয়া গেল না। মাত্র শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নির্বাচকদের নজর থাকলেও, সেরা ক্রিকেটাররাই বাদ পড়েছে! ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এই দুই সফরকে সামনে রেখেই ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে সুযোগ হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকা সবার। এছাড়াও ভাগ্য খুলেছে এনামুল হক বিজয়, আল-আমিন হোসেন, তানবীর হায়দার, সাকলাইন সজীব ও মুক্তার আলীর। যদিও জাতীয় দলের বাইরে থাকা বিজয় ও আল-আমিনের উপর সব আলো গিয়ে পড়েছে। মাত্র শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন এই দুজন। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে সেরাদের কাতারে থেকেও ২৯ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অনেকের। বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির দিক থেকে প্রথম পাঁচজন হলেন আবু হায়দার রনি (৩৫ উইকেট), আরাফাত সানি (৩৪ উইকেট), আল-আমিন হোসেন (২৯ উইকেট), তাইজুল ইসলাম (২৯ উইকেট) ও তানবীর ইসলাম (২৮ উইকেট)। বৃহস্পতিবারের ঘোষিত দলে এই তালিকার শেষ তিনজনের জায়গা হয়েছে। যদিও তাইজুল টেস্টের জন্য আগে থেকেই দলে ছিলেন। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেও দলে জায়গা হয়নি বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনির। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আরাফাত সানিও বাদ পড়েছেন। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বঞ্চিতদের সংখ্যাটা আরও বেশি। প্রথম পাঁচজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৫২ রান করা লিটন কুমার দাসকে দলে নেওয়া হয়েছে। বাকি চারজনের মধ্যে মার্শাল আইয়ুব (৬৬১), ইমতিয়াজ হোসেন (৬৪১), মেহেদি মারুফ (৬৩০) ও শাহরিয়ার নাফীস (৬০০) কারোরই সুযোগ হয়নি। অবশ্য ছয় নম্বরে থাকা বিজয় ৫৯৬ রান করে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন। বাদ পড়া এইসব সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে নির্বাচকদের মুখে খানিকটা আশার বাণী, সঙ্গে দীর্ঘ অপেক্ষার ইঙ্গিত। যেমনটা আরাফাত সানির ক্ষেত্রেই বললেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, টেস্টের জন্য প্রস্তুতিটা আগে নিচ্ছি আমরা। সেখানে সানি তো আগে থেকেই টেস্টের বিবেচনায় থাকেও না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য ওকে নিশ্চয়ই ভাবা হবে। ও প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরমও করেছে। তবে আমরা ওর বোলিং অ্যাকশনও পর্যবেক্ষণ করছি। শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে যা বললেন তাতে জাতীয় দলের আশাটা আরও মাইলখানেক দূরে চলে গেল। কিন্তু ফিরিয়ে দেননি নির্বাচক। অভয় দিলেন আসন্ন এ দলের সফরকে মাথায় রেখে। হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে রাখার মধ্যে দিয়ে যে তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেটাও বুঝিয়ে দিলেন নান্নু। সেটা ডিপিএলের সেরা বোলার রনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারে নাফীসের কোনো জায়গা নেই। তা ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে নিজের ব্যাটিং পজিশনেও সে নামেনি। ব্যাটিং করেছে ৪ ও ৫ নম্বরে। আর রনি তো এইচপি স্কোয়াডে আছেই। প্রয়োজনে ডেকে নেওয়ার সুযোগও আছে। শেষপর্যন্ত আবারও প্রমাণ করলো বিসিবি, ক্রিকেটের জন্য এ দেশে পারফরম্যন্সের চেয়ে বয়সকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2syo9mI
June 24, 2017 at 03:22AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top