পটুয়াখালী, ২৭ জুন- ৭ বছরের প্রেমকে গত ফেব্রুয়ারিতে রুপ দিয়েছেন বিয়েতে। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাসনিয়া ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। যদিও এখনও স্ত্রীকে উঠিয়ে আনেননি বাংলাদেশের এই পেসার। এরপরও বিয়ের পর প্রথম ঈদটা তার জন্য স্পেশালই। সঙ্গে থাকছে বাড়তি দায়িত্বও। তাসনিয়ার সঙ্গে যে প্রথমবার ঈদ কাটাবেন, তা কিন্তু নয়। তবে আগে কাটিয়েছেন প্রেমিকা হিসেবে, আর এবার স্ত্রী হিসেবে। অনেক খুঁজে কামরুল এই একটি পরিবর্তনই আবিষ্কার করতে পারলেন, সাত বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক। এই বছরগুলোতে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরেছি। এবার আর সেই সুযোগ কই! বান্ধবী তো স্ত্রী হয়ে গেছে। কথাগুলো বলতে বলতেই হুট করে মনে পড়ল রাব্বির ঈদের নামাজ শেষে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি। স্ত্রীকে উঠিয়ে আনেননি বলে একরকম ব্যাচেলরও তিনি। আগামী কয়েক মাস এই জীবন প্রাণভরে উপভোগ করতে চান কামরুল, বউকে এখনও উঠিয়ে আনিনি, তাই এখনও চলাফেরা ব্যাচেলর জীবনের মতোই। এই মুহূর্তে ব্যাচেলর জীবনটা অনেক উপভোগ করছি। যখন উঠিয়ে আনব, তখন দায়িত্বটা আরও বাড়বে। এই ঈদে বাড়তি কিছু কাজ হয়তো করতে হবে। এরপর নিজেই জানলেন বাড়তি দায়িত্বগুলোর কথা, ঘুম থেকে উঠে বাবা এবং বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া তো সাধারণ ঘটনাই। এর আগেরবার হয়তো যা হয়নি, এবার যোগ হবে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া। ঈদের দিনে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। ঘোরাঘুরিতে সবসময়ই ডুবে থাকেন কামরুল। বিশেষ করে বরিশাল গেলে অন্যগ্রহের মানুষ হয়ে উঠেন তিনি। ক্রিকেট ভুলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে জুড়ি মেলা ভার কামরুলের। এবারও এর ব্যত্যয় হবে না, ঘুরতে তো সবসময় ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে আড্ডা মারতে। এবারও ঈদে বন্ধুদের নিয়ে তেমনই পরিকল্পনা থাকছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন এই পেসার ১৯৯১ সালের ১০ ডিসেম্বর পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কামরুল। তার বাবা সেলিম খান পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও মা সালমা বেগম গৃহিণী। বাংলাদেশের এই পেসার বরিশালের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। আর এইচএসসি পাশ করেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে। তিনি এখন ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম ক্রিকেটে নাম লেখান কামরুল। পেসার হান্ট প্রোগ্রামে বরিশাল বিভাগে তিনি প্রথম হন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন তার দল ওল্ড ডিওএইচএস-এ খেলার সুযোগ দেন তাকে। ধীরে ধীরে নিজেকে শাণিত করে টেস্ট ক্যাপ এরই মধ্যে অর্জন করেছেন। ৫ টেস্ট খেলা কামরুলের এখন লক্ষ্য সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়া। সেই সুযোগের অপেক্ষায় লড়াইটা বেশ ভালোভাবেই করে যাচ্ছেন তিনি। আর/১২:১৪/২৭ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tdkGLs
June 27, 2017 at 06:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন