আপন জুয়েলার্সের সোনা ফেরত দিতে ব্যবসায়ীদের ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা

aঢাকা::

আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের জব্দ সোনা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে আগামী ১১ জুন থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখা হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এ কথা বলেছে। সোনা ব্যবসার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছে তারা।গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম মার্কেটে বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা (আলটিমেটাম) দেওয়া হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানের অপসারণও দাবি করেছে সংগঠনটি।

তবে বাজুসের এই আন্দোলনের সঙ্গে আপন জুয়েলার্স নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিলদার আহমেদ। গতকাল রাতে একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি এ কথা জানান।

দিলদার আহমেদ বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের অবস্থা ভালো না। এখন কোনো ধরনের ঝামেলায় যেতে চাই না। বাংলাদেশ জুয়েলারি মালিক সমিতি কোনো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কি না সেটাও জানি না। এ ছাড়া বাজুস যদি আন্দোলনের ডাক দিয়েও থাকে এ বিষয়ে বাজুসের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা এখন সমস্যায় আছি, কোনো আন্দোলনের মধ্যে নেই। আন্দোলন করে কি আর সব কিছু ফিরে পাওয়া যাবে। ’

দিলদার আরো বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের মাধ্যমেই এখন প্রমাণিত হবে আমাদের স্বর্ণ বৈধ নাকি অবৈধ। এ বিষয়ে এখন এর বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে আমি চাই, যারা অবৈধভাবে জুয়েলারি ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হোক। তাহলেই বোঝা যাবে দেশে কতজন সৎ স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন। ’ এ সময় তাঁর স্বর্ণ বৈধ বলেও দাবি করেন দিলদার।

এর আগে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সহসভাপতি এনামুল হক খান বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আন্দোলন চলবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত সোনা ফেরত দিতে হবে। তা না হলে ১১ জুন রবিবার সারা দেশে জুয়েলারি দোকানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হবে। ১২ জুন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বায়তুল মোকাররম মার্কেট থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। সেখানে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ১৫ জুন সমাবেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সহসভাপতি বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসা করছেন। ঠিকমতো কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। ৪০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে আপন জুয়েলার্স। বনানী ইস্যুতে জড়িয়ে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেভাবে স্বর্ণ সংগ্রহ করে সব স্বর্ণ ব্যবসায়ী একই উপায়ে স্বর্ণ সংগ্রহ করে। কাল যদি একই পন্থায় সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হেনস্তা করা শুরু হয় তাহলে তারা কোথায় যাবে? এটা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

এনামুল হক খান বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমকে ডেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জড়িয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বর্ণালংকার কিনতে আসছে না; তারা আতঙ্কিত হচ্ছে। এতে এ খাতের সঙ্গে জড়িত ২৮ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা তাঁর অপসারণ চাচ্ছি। ’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার, আমিনুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2sG0dMy

June 08, 2017 at 09:38AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top