ঢাকা, ১৭ জুন- ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশকে বিস্ময়কর কিছু করতে হতো। সুযোগ কিন্তু এসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেটি নিতে পারেনি। দ্রুত দুটি উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের তৃতীয় উইকেট জুটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিল। তিন শর বেশি রান ওঠার মঞ্চ তৈরি হয়েছিল এতে। অনেকে বলতে পারেন ভারত যেভাবে ব্যাটিং করেছে আর বাংলাদেশ যেভাবে বোলিং করেছে তাতে ৩০০ রানও যথেষ্ট হতো না। কিন্তু নকআউট পর্বের একটি ম্যাচে তিন শর বেশি রান করলে সব সময়ই জয়ের সম্ভাবনা থাকে। এ কারণেই সুযোগ হাতছাড়া করার যন্ত্রণা থাকবে বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে এ ধরনের ভুল পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। বোলারদের জন্য কিছু নেই এমন এক উইকেটে ২৬৫ রান বড় কোনো লক্ষ্য নয়। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে ২৬৪ রান করে জয়ের আশা করা যায় না। বাংলাদেশ উইকেট নেওয়ার মতো ভালো বোলিং করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতে শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা অসাধারণ ব্যাটিং করে ম্যাচটি আমাদের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আসলে তাদের এমন ব্যাটিংয়ের পরই আশা ছেড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষাতেই তা বোঝা গেছে। বিরাট কোহলি আরেকবার দেখিয়েছে, সে কত ভালো খেলোয়াড়। বিশেষ করে রান তাড়া করায়। ধাওয়ানকে ফেরানোর পর বাংলাদেশ দ্রুত আরেকটি উইকেট পেলে হয়তো ভারতকে কিছুটা চাপে ফেলতে পারত। কিন্তু ধীরস্থির ব্যাটিং করে কোহলি সেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ওপর বড় ম্যাচের চাপ ছিল। ভারতের সুবিধা হলো, এমন ম্যাচ আগেও ওরা খেলেছে। ওরা জানে কীভাবে এই চাপ সামলাতে হয়। বাংলাদেশ যেহেতু এই পর্যায়ে প্রথম খেলেছে তাই চাপটা সামলাতে পারেনি। টুর্নামেন্টের শেষ পর্যায়ে সবচেয়ে জরুরি চাপ সামলানো আর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা। এজবাস্টনে ৫ ওভার পরেই উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ হয়ে ওঠে। বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। এমনকি ভারতের মতো ভালো বোলিং লাইনআপেরও কিছুই করার ছিল না। এ সময় অনিয়মিত অফ স্পিনার কেদার যাদবের বলে দুটি উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসাটা ক্ষমার অযোগ্য। যাদবের ওভারগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশ সহজে ৩২০ রানও পেতে পারত। এরপরও ভারতের অসাধারণ ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে হয়তো জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারত না। কিন্তু কে বলতে পারে, কী ঘটত! অথচ নিজেদের সৃষ্ট চাপেই ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশ। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে এ রকম পরিস্থিতি সামলাতে পারবে বাংলাদেশ। আর এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো ইতিবাচক দিক অনেক আছে। কয়েকটি ভালো দিন আর ম্যাচ গেছে বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে। অনেক দিক থেকেই এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের জন্য ২০১৯ বিশ্বকাপের মহড়া। এই টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখে থাকবে। দুই বছর পর এই ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এটা বেশ কাজে লাগবে। আর/০৭:১৪/১৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rFWjRZ
June 17, 2017 at 01:47PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top