ঈদের ছুটিতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ঢাকায় এসেছে চার সদস্যের একটি পরিবার। বেশভূষা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তাদের স্ট্যাটাস নিম্ন মধ্যবিত্ত। উদ্দেশ্য একটাই, রাজনীতি ছবিটি দেখা। যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টারে সিনেমাসে ছবিটি উপভোগ করতে টিকেটের জন্য তারা খরচ করেছেন ১৬০০ টাকা। ২৯ জুনের সন্ধ্যার শো ছিলো হাউসফুল। কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে ছবিটি উপভোগ করেছেন নির্মাতা বুলবুল বিশ্বাস। ছবি শেষ হওয়ার পর টঙ্গী থেকে আসা পরিবারের গৃহকর্ত্রী খুঁজে বের করলেন নির্মাতা বুলবুলকে। হাসিমুখে জানালেন, ছবিটি তাদের দারুণ ভালো লেগেছে। টেলিভিশনে নির্মাতার সাক্ষাৎকার দেখে রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছিলেন তারা। টঙ্গীতে ছবিটি কোনো হলে না চলায় ছুটে এসেছেন ঢাকায়। বাজেটের চেয়ে বাড়তি টাকা খরচ হলেও প্রশান্তি নিয়ে ফিরে গেছেন তারা। বুলবুল বিশ্বাস আবেগে ভাসছিলেন। তিনি বললেন, আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি ও আমার প্রডিউসার খুশি। আমরা হল কম পেয়েছি, নির্ভেজাল ভালোবাসা পেয়েছি বেশি। যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি বস টু ও নবাব-এর পাশাপাশি ঈদে মুক্তি পেয়েছে দেশীয় প্রযোজনা ও দেশীর গল্পের ছবি রাজনীতি। শুরু থেকে ছবিটির প্রচারে নায়িকা অপু বিশ্বাস সক্রিয়। তবে পাওয়া যায়নি শাকিব খানকে। তাতে কি? ছবিটি ভালো চলছে, প্রশংসিত হচ্ছেএমন সংবাদ পেয়ে বুলবুল বিশ্বাসকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। রাজনীতি ছবিটির সবচেয়ে বড় শক্তি কি? কী আছে রাজনীতিতে? এমন প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বিশ্বাস বলেন, দেশীয় গল্প, অভিনয় ও উপস্থাপনায় নতুনত্ব রাখার চেষ্টা করেছি। কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম ভেঙে ফেলেছি ছবিটিতে। একজন ফেসবুকে রাজনীতি নিয়ে লিখেছেন যে, ছবিটিতে শাকিব খানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, চরিত্র যতোটুকু দাবি করে ততটুকুই তাকে রাখা হয়েছে। এটি তার ভালো লেগেছে। আমার মতে, প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নির্মাতা হিসেবে আমি এটুকু বলতে পারি যে, যেভাবে যতোটুকু চেয়েছি, অভিনয়শিল্পীদের সহযোগিতা পেয়েছি। এ কারণেই ছবিটিতে সবার অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকেই মনে করেছিলেন, শাকিব-অপুর বিয়ে, সন্তান প্রকাশ্যে আসায় রাজনীতি ছবির ওপর প্রভাব পড়বে। হিসেবটা একেবারেই উল্টে দিয়েছে ছবিটি। ঈদের দিন থেকেই ছবিটি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ছবির বেশ ভালো সাড়া মিলেছে। প্রতিদিনই দর্শক সংখ্যা বাড়ছে। আলোচিত যৌথ প্রযোজনার নবাব ও বস টুর সঙ্গে লড়ছে রাজনীতি। ছবিটিতে আনিসুর রহমান মিলনের অভিনয় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে অমিত হাসান, শিবা শানু কিংবা ডিজে সোহেল প্রতিটি শিল্পী নিজেদের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন দারুণভাবে। তবে টানটান ছবিটিতে গান ব্যবহারের ক্ষেত্রে বুলবুল বিশ্বাস আরেকটু সচেতন হতে পারতেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা। বুলবুল বিশ্বাস জানান, কিছু সীমাবদ্ধতার পরও তিনি পরিপূর্ণ বিনোদনমূলক একটি ছবি উপহার দিতে পেরেছেন। নোংরা রাজনীতি যারা করেন, তাদের কি পরিনতি হতে পারে, সেই বার্তাটিও পৌঁছে দিতে চেয়েছেন বুলবুল। তার মতে, তিনি কিছুটা হলেও সফল। তার বিশ্বাস, দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজনীতি আরও বেশি হল পাবে, ধীরে ধীরে দর্শকের প্রিয় ছবি হয়ে উঠবে এটি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2urFjRk
July 01, 2017 at 02:33AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন