কলকাতা, ১৬ জুন- হেলমেট পরেননি খোদ আবগারি দফতরের ওসি। তাই তাঁকে জরিমানা করলেন ট্রাফিক পুলিশের ওসি। আর তা নিয়ে রাস্তার উপরেই বিবাদ গড়াল প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে। দুজনেই তারপরে একে অপরের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালত থেকে দফতরের কাজ সেরে বাইকে চেপে রায়গঞ্জ কর্ণজোড়ায় দফতরের জেলা কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন আবগারি দফতরের রায়গঞ্জের ওসি অংশুমান চক্রবর্তী। পুলিশের দাবি, তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। ট্রাফিক পুলিশের রায়গঞ্জের ওসি জামালুদ্দিন আহমেদ তাঁকে শিলিগুড়ি মোড় এলাকার ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে ১০০ টাকা জরিমানা দাবি করেন। দুজনেই সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। অংশুমানের দাবি, তিনি ভুল স্বীকার করে নিজের পরিচয় দিয়ে জরিমানা না করতে জামালুদ্দিনকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, জামালুদ্দিন সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তিনি কত বড় অফিসার, তা দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। অংশুমান বলেন, এর পরেই জামালুদ্দিন আমার বাইকের সিটে ডান পা তুলে বাইকটি বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দেন। আমি প্রতিবাদ করতেই তিনি আমার জামার কলার ধরে টানতে টানতে গালে চড় মেরে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। জামালুদ্দিনের পাল্টা দাবি, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। হেলমেট না পড়ায় ওই অফিসারের কাছে জরিমানা চাইতেই তিনি আবগারি দফতরের নাম করে আমাকে হুমকি দিয়ে আমার কলার টেনে ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ জামালুদ্দিন ও অংশুমানের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে গোলমাল চলে। তাঁদের গোলমাল দেখতে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় সংলগ্ন রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়ক ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বহু মানুষ ভিড় জমান। স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নয়ন দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এরপর হেলমেট না পড়ার অভিযোগে অংশুমানের কাছ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন জামালুদ্দিন। ওই ঘটনার পর অংশুমান উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের কাছে জামালুদ্দিনের বিরুদ্ধে তাঁকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের অভিযোগ জানিয়েছেন। জামালুদ্দিনও রায়গঞ্জ থানায় অংশুমানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, অংশুমান মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবগারি দফতরের জেলা সুপারিনটেন্ডেন্ট তপনকুমার মাইতির বক্তব্য, কেউ ট্রাফিক আইন অমান্য করলে পুলিশ মামলা বা জরিমানা আদায় করতেই পারেন। কিন্তু পুলিশ কখনওই কাউকে হেনস্থা বা মারধর করতে পারে না। অংশুমানকে ট্রাফিক পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছি। আর/১৭:১৪/১৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tutEjZ
June 17, 2017 at 12:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন